সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললে এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নিদান নরেনের

দুর্গাপুর, ৬ মার্চ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা সফরে এসে একদিন রাত্রিযাপন করেন দুর্গাপুরে।সেইদিন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার সংগঠনের সিনিয়ার নেতাদের ডেকে বৈঠক করে জেলার ৯ টি বিধানসভা ভিত্তিক এলাকায় লোকসভা নির্বাচনে যাতে শাসকদলের প্রার্থীরা সেই বিধানসভা থেকে ভালো মার্জিনে লিড পান সেই দায়ীত্ম ভাগ করে দিয়ে যান।বিতর্ক দানা বাঁধে দলে বেশ কিছুদিন “” কোনঠাসা””থাকা বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে দায়িত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র করেই।একটা ঠান্ডা,লড়াই শুরু হয়ে যায় বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও অভিজিৎ ঘটক এবং তাদের অনুগামীদের মধ্যে।সংবাদমাধ্যমের সামনে এই দুই গোষ্ঠীর নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে “” কাদা ছোড়াছুড়ি “” শুরু করে দিতেই বিরোধী শিবির শাসকদলের এই দ্বন্দ্বকে নিয়ে কটাক্ষ শুরু করে।

এবার এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল নেতাদের এবং কর্মীদের সামনে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন “”দলনেত্রী সবাইকে এক হয়ে কাজ করা নির্দেশ দিয়ে গেছেন। কাউকে আলাদা করে জমিদারি দিয়ে যাননি। “”এরপরেই জেলা সভাপতি কড়াবার্তা দিয়ে বলেন, “”সংবাদ মাধ্যমের সামনে চায়ের দোকানে কোন মন্তব্য দলের যে কেউ করতে যাবেন না। জেলা কমিটির বৈঠকে কারা কারা মুখপাত্র তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।তার বাইরে যদি কেউ কোনও মন্তব্য করতে যান তাকে কিন্তু শো-কজ করা হবে। “”দুর্গাপুরে বিগত বেশ কয়েকদিন বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বনাম মন্ত্রী মলয় ঘটকের অনুগামীদের মধ্যে ঠান্ডা একটি লড়াই চলছে। সেই লড়াই লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকট হয়ে ওঠার কারণে তাকে থামাতেই জেলা সভাপতির রনংদেহি মূর্তি র সাক্ষী হয়ে থাকলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতৃত্ব এবং কর্মীদের একটা বড় অংশ।এখন দেখার দক্ষিণপন্থী এই দলের লড়াই এখানেই থামে? নাকি সময়ের সাথে সাথে লড়াইয়ের বহরও বাড়তে থাকবে?

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *