দুর্গাপুর, ২৭ জানুয়ারি :ব্যবসায়ী অপহরণ কাণ্ডে ধৃত পাঁচজনের পোর্টফোলিও দেখে অবাক পুলিশ। একজনের মধ্যে কেও রাষ্ট্রায়ত্ত ইসিএল কর্মী, কেউবা আবার এম টেক, বি টেক উত্তীর্ণ মেধাবী ছাত্র। এরাই কিনা ব্যবসায়ী অপহরণ কাণ্ডে জড়িত! শুনতে অবাক লাগলেও এরকম পোর্টফলিও যাদের এমন পাঁচজনকেই আজ আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মারধর এবং মুক্তিপন আদায়ের অভিযোগে বুদবুদ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করল। পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ের এক ব্যবসায়ীকে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলো পাঁচজন দুষ্কৃতি কে । আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের বুদবুদ থানার কয়েকদিন আগে একটি অভিযোগ আসে যে 19 নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পানাগড়ের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয় সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বুদবুদ থানার পুলিশ।

জানা গেছে, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বুদবুদ থানার অন্তর্গত সোয়াই মোড়ের কাছে একটি হোটেল থেকে পানাগড়ের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয় এবং তার কাছ থেকে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা মুক্তি পন নেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে গ্রেপ্তার হয় পাঁচজন দুষ্কৃতী এবং অপহরণ করা সেই চার চাকা গাড়িটি ও একটি মোটরসাইকেল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র চার রাউন্ডগুলি নগদ এক লক্ষ বারো হাজার টাকা এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল । আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটর ডিসি অভিষেক গুপ্তা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন,”অপহরণ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য এবং তাদের প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দাবি ছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে ছয় লক্ষ টাকার মত মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় ব্যবসায়ীকে। তবে এর পেছনে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তার তদন্ত চলছে। তবে এই পাঁচ জনের মধ্যে একজন ইসিএলে কাজ করতো।”তবে খুব অবাক করার মত ঘটনা গ্রেপ্তার হওয়া এই পাঁচজন যে অপরাধ জগতের পোক্ত কুখ্যাত দুষ্কৃতি তেমনটা নয়। উল্টে এই পাঁচ জনের যে পরিচয় পুলিশ সূত্রে পাওয়া গেছে তাতে অবাক হতে হয়েছে পুলিশকেও। দ্বিতীয় পাঁচজনের মধ্যে একজন রাষ্ট্রায়ত্ত ইসিএল কর্মী, এদের মধ্যে বি-টেক,এম-টেক উত্তীর্ণরা আছে। ধৃতদের নাম অভিজিৎ চক্রবর্তী, সঞ্জীব বিশ্বাস, সোহম চট্টোপাধ্যায়, বিমলেশ কুমার ঠাকুর এবং সুপ্রিয় খাওয়াস।