বাঁকুড়া,৩০ ডিসেম্বর: ২৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবার দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বাঁকুড়ার গোসাইডির জঙ্গলে কাবু করা সম্ভব হয়েছে ওডিশার সিমলিপাল থেকে বাংলায় ঢুকে পড়া বাঘিনি জ়িনাতকে। আপাতত তাকে রাখা হয়েছে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সেখানে শারীরিক পরীক্ষার পরে তাকে ফেরানো হবে তার ‘ঘর’ সিমলিপালে।বন দপ্তর সূত্রে খবর, প্রায় ২০০ জনের টিম মিলে বাঘিনিকে খাঁচাবন্দি করার জন্য দিনরাত এক করে কাজ চালানো হয়েছে। এক গুলিতে বাগে আসেনি জ়িনাত। ২৮ ডিসেম্বর, শনিবার রাতে প্রথম দেখা মেলে তার। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল একটু একটু করে কাবু করার প্রক্রিয়া। অবশেষে ২৯ তারিখ সফলতা পান বন কর্মীরা। যদিও চ্যালেঞ্জ কম ছিল না। শেষমেশ তা পার করে ফেলল বনদফতর। গত ৮ দিন ধরে কার্যত বনদফতরকে তুমুল বেগ পেতে হয়েছে বাঘিনী জিনাতকে ধরতে। শনিবার তাকে টার্গেট করে ট্রাঙ্কুলাইজার দেওয়া হলেও, তা জিনাতের গায়ে লেগেছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে এরপরই স্ট্র্যাটেজিতে বদল আনে বনদফতর। শনিবার সকালে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থামার আওতায় গোঁসাইডিহি গ্রামের লাগোয়া এক জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল বাঘিনী জিনাত। প্রথমেই বাঘিনীর অবস্থান নিশ্চিত করে বনদফতর। তারপর তাকে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়। তবে তাতেও কাজে দেয়নি। বাঘিনী কোথাও জঙ্গলের অন্দরেই লুকিয়ে গিয়েছিল। বাঘিনীর গলায় ছিল তাকে ট্র্যাক করার জন্য রেডিও কলার। তবে শনিবারের পর গোটা জঙ্গল ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলে কিছু জায়গায় নিয়ন্ত্রিতভাবে আগুন লাগিয়ে তাকে ধরার স্ট্র্যাটেজি স্থির হয়। সেই কৌশলেই আসে সাফল্য। শেষমেশ বাঘিনী বন্দি হয়।

বনদফতর সূত্রে খবর, রবিবার জিনাতকে লক্ষ্য করে দুপুরে ঘুম পাড়ানি গুলি করা হয়। তার ৩০ মিনিট পরই খবর আসে, বাঘিনী জিনাতকে খাঁচায় ঢোকানো গিয়েছে।ধরা পড়ে যায় জিনাত। দিনের পর দিন তার নিজের মতো করে জঙ্গল দাপানোর পর এবার জিনাতের চেনা ডেরায় ফেরার পালা ! এবার জিনাত ফিরবে সিমলিপালের জঙ্গলে। বলা ভালো, বছর শেষে পুরুলিয়া বাঁকুড়া দাপানোর পর অবশেষে ঘরে ফিরবে বাঘিনী!