দুর্গাপুর, ৩ জানুয়ারি : ইস্পাত নগরী দুর্গাপুরের হোস্টেল এভিনিউ এর স্টিল হাউজ কলোনিতে সামান্য এক সবজি বিক্রেতার বাড়িতে মোমবাতির আগুন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ির সমস্ত কিছু। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে প্রায় তিন ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এলেও বাড়ির সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হওয়ার পাশাপাশি ওই বাড়ির বাবা বিমান স্বর্নকার ও তার ছেলে আগুনের লেলিহান শিখায় আহত হলেন। এই ঘটনার যেতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল স্টিল হাউজ কলোনি এলাকায় ।

দুর্গাপুর থানা এলাকার স্টিল হাউজ কলোনিতে দু তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে, বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল বিমান স্বর্নকার ও তার ছেলে। সেই মোমবাতি থেকেই আগুন লাগে ঘরের পর্দায়।নিমেষে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ঘরে। দাউ দাউ করে যখন আগুন জ্বলে ওঠে গোটা ঘরে বাবা ও তার ছেলে সেই আগুনের লেলিয়ান শিখায় আহত হয়। দুটো তারা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে প্রতিবেশীরাও বেরিয়ে আসেন বাড়ির বাইরে। বাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগার কারণে আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে আগুন। প্রতিবেশী পূজা সিংহ জানান, “”রাত দুটোর সময় হঠাৎ ওই বাড়ির ছেলেটি বাবা-বাবা বলে চিৎকার করতে থাকে। আমরা সব বেরিয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। চোখের সামনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল। বাড়ির কর্তা সামান্য সবজি বিক্রেতা, ছেলেটি অন্যের গাড়ি চালায়। বউমা বাড়িতে ছিল না। নিমেষে আগুনে সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হতে দেখলাম। পাশাপাশি বাড়িগুলো তো আগুন ধরেছিল অল্প।কিন্তু তাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। “”দমকল বিভাগের আধিকারিক পূর্ণেন্দু ভৌমিক জানান, “”আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ আমরা যেটা জানতে পারলাম এখানে বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। মোমবাতির আগুন থেকেই এই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আমরা যথাসময়ে এসে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। দমকলের একটি ইঞ্জিন থেকে দুটি পাইপ বের করে আমরা দু দিক থেকে আগুনটিকে নিয়ন্ত্রণ করি। যেহেতু ঘিঞ্জি কলোনি তাই আরও বড়সড়ো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। আপাতত সমস্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। “”আগুনে আহত বাবা ও ছেলেকে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।।