“দুর্গাপুর, ২৯ ডিসেম্বর :মাত্র দু’দিন আগে “”রিসিভার বেসড””তদন্তে নেমে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশ স্থানীয় একজনের বাড়ি থেকে ৬০ টি মোবাইল ও ১৪ টি বাইক উদ্ধারসহ চুরির মাল খরিদ করা সেই রিসিভারকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার কোকওভেন থানা এলাকার সুকান্তনগরের এক প্রৌঢ়াকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় তিনজন বাইক আরোহী ।তারপরে ওই প্রৌড়ার সোনার চেন ছিনিয়ে বাইকে করে পালালো দুষ্কৃতীরা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশি তৎপরতায় গ্রেপ্তার দুষ্কৃতীরা। উদ্ধার চুরি যাওয়া সোনার চেন ও বাজেয়াপ্ত ছিনতাই এর কাজে ব্যবহৃত বাইক,স্কুটি। কিন্তু কিভাবে ধরা পড়ল এই কুখ্যাত ছিনিতাইবাজরা?কোকওভেব থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছিনতাই হওয়ার ঘটনার পরেই পুলিশ তা জানতে পেরে যে দোকানগুলিতে ছিনতাইবাজরা মূলত এই সোনার চেইন বিক্রি করতে পারে সেই সমস্ত দোকানগুলোতে নজরদারি চালানো শুরু হয়। দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার সিনেমা হল রোড এলাকায় একটু সোনার দোকানে এই সোনার চেনটি বিক্রি করতে যায় তিনজন দুষ্কৃতী। সেখানেই বমাল এই তিনজন দুষ্কৃতী ধরা পড়ে যায় পুলিশের জালে। শুধু তাই নয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এই তিনজন ছিনতাই বাজকে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ আদালতে পাঠানো হলো এই ঘটনার সাথে জড়িত আরও ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কোকওভেন থানার পুলিশ। ছিনতাই এর ঘটনার সাথে জড়িত যারা তাদেরকে স্বমূলে উপড়ে ফেলতেই পুলিশ চাইছে প্রথমে যারাএই ধরনের চুরির সম্পদ কেনাবেচার কারবার করে সেইসমস্ত রিসিভারদের আগে স্বমূলে উপড়ে ফেলতে।কয়েকদিন আগে এই রিসিভার বেসড নয়া তদন্ত প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন আসানসোল -দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা। রবিবার ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হল। জানা গেছে, দুর্গাপুরের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঋষি অরবিন্দ পল্লীতে শোভারানী মুখোপাধ্যায় নামের এক প্রৌঢ় পথ সারমেয়কে খাবার দিচ্ছিলেন। তখনই বাইককে করে তিনজন দুষ্কৃতি আসে। বাইক থেকে নেমে এক দুষ্কৃতি শোভারানী দেবীকে ধাক্কা মারে। রাস্তার উপর মুখ থুবড়ে পড়েন তিনি। তিনি চিৎকার করতে করতেই গলায় থাকা প্রায় এক ভরি সোনার চেন নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকা জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় কোকওভেন থানার পুলিশকে। পুলিশ চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। দুষ্কৃতীরা যখন ওই সোনার চেনটি দুর্গাপুরের সিনেমা হল রোডের একটি সোনার দোকানে বিক্রি করতে যায় তখনই তাদের পাকড়াও করে ফেলে। গ্রেপ্তার করা হয় সুভাষপল্লী সংলগ্ন রাহুল পল্লীর শিব প্রসাদ, আদিত্য মন্ডল ও ইস্যু রাম নামের তিন দুষ্কৃতীকে।পুলিশের পক্ষ থেকে আরও একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যে সমস্ত যুবকেরা মাদকদ্রব্য সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ে নেশার যোগানের জন্য এই ধরনের অপরাধ করছে তেমন কেউ ধরা পড়লে তাদেরকে দ্রুত পুলিশের পক্ষ থেকে সংশোধনাগারে না পাঠিয়ে, পাঠানো হচ্ছে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে।
