রাণীগঞ্জে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির পিছনে কি ঝাড়খন্ডের গ্যাং?

রাণীগঞ্জ, ৯জুন: হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, পরপর ৬-৭জন সশস্ত্র ডাকাত রাণীগঞ্জের একটি সোনার দোকানে ঢুকে লুঠপাট চালায়।এদের অনেকেই মাথায় হেলমেট পরেছিল।পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়ের পরেও দুটি বাইক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।কিন্তু এরা কারা?সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে এরা ঝাড়খন্ডের ধানবাদের কুখ্যাত এক ডাকাত দলের কাজ।দিনেদুপুরে এরা এই ধরনের অপরাধের কারনে খনি অঞ্চলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।রাণীগঞ্জ থেকে পালিয়ে যেতে পেরেছে এই ডাকাতদলটি?সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে নিমচার জঙ্গলে এই ডাকাতদলটি আত্মগোপন করেও থাকতে পারে।সোনার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে রাণীগঞ্জ থানার পুলিশ।

সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি রুখতে চলল পুলিশের লাগাতার গুলির লড়াই। রানীগঞ্জের ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দিনে দুপুরে সেনকো গোল্ড এ ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা । এদিন দুপুর ১২ঃ১৫ নাগাদ ৮ সদস্যের ডাকাত দল অত্যাধুনিক কার্বাইননসহ সব আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোনার দোকানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষিদের বন্দুক কেড়ে নিয়ে দোকানের ভেতরে ঢুকে দোকানের মধ্যে থাকা সমস্ত কর্মী ও ক্রেতাদের বন্দুকের নিশানাই রেখে ১০-১৫ মিনিট ধরে লুটপাট চালায়। এই ডাকাতির ঘটনা বুঝতে পেরে বাইরে থাকা পুলিশ ডাকাত দলের কয়েকজনের উদ্দেশ্যেই গুলি ছুঁড়তে থাকলে পাল্টা ডাকার দলের পক্ষ থেকেও লাগাতার গুলি ছোড়া হয়। এই ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ ধরে এলাকার আশেপাশে গুলির লড়াই চলতে থাকে। পুলিশ দ্রুত সক্রিয় হয়ে ডাকাতদের উদ্দেশ্যে গুলি করতে থাকায় ডাকাত দলের একজন এই ঘটনায় আহত হয়। যদিও দ্রুতগতিতে তারা বাইক নিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনায় দোকানের মধ্যে থাকা বেশ কিছু সোনার গহনা ডাকার দল লুট করে নিয়ে গেলেও একটা থলি ভর্তি সোনার গহনা তারা নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলেই এই মুহূর্তে জানা গেছে তবে ডাকাত দল মুহূর্তে ঘটনার স্থল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াই কাউকেই এখনো পর্যন্ত ধরা যায়নি। জানা গেছে হিন্দি ভাষাভাষী ২২,২৫ বছরের ৮ জন যুবক হঠাৎ করেই ঢুকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা রক্ষির আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় ডাকাত দল। যদিও মুহূর্তে এই ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ায় আশেপাশের হাজারো মানুষ এ মুহূর্তে জড়ো হয়েছে রানীগঞ্জের তার বাংলা অঞ্চলে। পুলিশ সমস্ত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহের জন্য এখন ওই সোনার দোকানের মালিকের সাথে কথা বলে সমস্ত ঘটনা জেনে নিচ্ছেন। এই ঘটনার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ডাকাত দলের কাউকে ধরপাকড় করা যায় কিনা এ বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। জানা গেছে পুলিশের পিসি পার্টির নজরদারি সক্রিয় থাকায় ডাকাত দল এই ডাকাতির ঘটনার সময় ব্যাপকভাবে বেগ পেয়েছে। তবে দিনে দুপুরে এ ধরনের ডাকাতির ঘটনায় ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে রানীগঞ্জের বাজার এলাকায়।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *