দুর্গাপুর, ২৯ অগাস্ট : আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, মিছিলময় গোটা রাজ্য। প্রথমদিকে দাবি ছিল সবার তিলোত্তমার নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ফাঁসি চাই। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এরাজ্যের শাসক বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির স্লোগানে পরিবর্তন আসে। তাদের স্লোগানে হঠাৎই শোনা যায় “”পুলিশ তুমি নিরব কেন? তোমার মেয়ে হচ্ছে বড় “”।বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশদের কে দেখলেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাকর্মীরা এভাবেই স্লোগান দিচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎই বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিকদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে এই শ্লোগানের বিরোধিতা করেই যেন ফুটে উঠলো, “”পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো,সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়ো।””আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জদের নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে ঠিক এভাবেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির স্লোগানের যেন নীরব প্রতিবাদ। নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া এক পুলিশ আধিকারিক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “””পুলিশ সমাজ বন্ধু হিসাবে কাজ করে। কিন্তু পুলিশকে দেখলেই কটুক্তি,অশ্রাব্য গালিগালাজ বহু মানুষকে দিতে শোনা যায়। আমাদের মেয়েরাও আর পাঁচ জন সাধারণ মেয়ের মতোই বড় হচ্ছে। তাই স্লোগান তুলে আমাদেরকে সে কথা মনে করিয়ে দেওয়ার কোন কারণ বা যুক্তি নেই। আইন বিরুদ্ধ কোন কাজ পুলিশ সমর্থন করে না। “”পুলিশ আধিকারিকদের প্রোফাইলে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, কেউ লিখেছেন”” পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ুন “”,কোন কোন আধিকারিকাবা স্পষ্ট লিখে দিয়েছেন, “”পুলিশের মেয়ের নয়, নিজেদের কথা বলুন। “”আসলে বিরোধীদের তোলা এই স্লোগান কোটি কোটি মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা উর্দিধারীদের আঘাত দিয়েছে এটা স্পষ্ট। বহু পুলিশকর্মী আবার সম্প্রতি কলকাতার রাজপথে আক্রান্ত রক্তাক্ত এবং চিকিৎসকদের কথায় একটি চোখ হারিয়ে ফেলা সার্জেনের ছবিও দিয়েছেন নিজেদের ওয়ালে। আসলে পুলিশ সফট টার্গেট।তাই দিন রাত এক করে যারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে চলেছেন সেই পুলিশকর্মীরা তাদের বাড়ির মেয়েদের নিয়ে তোলা এই রাজনৈতিক স্লোগানের বিরুদ্ধে নিরব প্রতিবাদ করলেন সমাজ মাধ্যমেই।।