দুর্গাপুর, ২০ ডিসেম্বর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তায় সার। দিনে দুপুরে বুক ফুলিয়ে পুলিশ প্রশাসন আর সেচ দফতরের নজর এড়িয়ে বালি চুরি হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারেজের দামোদর নদের বর্ধমান সেচ ক্যানেল থেকে। বেআইনি বালি চুরির কৌশল বদলে ফেলে বালি চোররা বেআইনি ভাবে বালি চুরি করছে বুক ফুলিয়ে।বদলেছে বালি চুরির কৌশল, স্থানীয়দের নিয়োগ করে এবার দুর্গাপুরে দামোদর নদের সেচ ক্যানেল থেকে চলছে দেদার বালি চুরি। আর সবটাই হচ্ছে দিনে দুপুরে বুক ফুলিয়ে। বেআইনি বালি চুরি বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই কড়া বার্তা দিন কাজের কাজ যে খুবএকটা হচ্ছে না দুর্গাপুর ব্যারেজের দামোদর নদের বর্ধমান সেচ ক্যানেলের মাঝ বরাবর দিয়ে বেআইনি বালি কাটার এই ছবিতে তা স্পষ্ট হয়েছে।না পুলিশ প্রশাসন না সেচ দফতর কারোর কোনো হুশ নেই, আর এই প্রশাসনিক দুর্বলতাকে ঢাল করে চলছে দেদার বালি চুরি। দুর্গাপুর ব্যারেজ, আর সেই ব্যারেজকে ঘিরে রয়েছে দামোদর নদ,একপাশে দামোদর নদ আর অন্যপাশে বর্ধমান সেচ খাল, যে জল পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান সহ আশপাস জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায় চাষের জলের কাজে। এখন জল কম বর্ধমান সেচ ক্যানেলে, আর সেই সুযোগে সেচ ক্যানেলের মাঝেই দিনে দুপুরে বালি চোররা হাজির বালি কাটতে, বস্তা বস্তা বালি এরপর এক জায়গায় স্টক করে তা চড়া দড়ে পৌঁছে যাচ্ছে বাজারে সিন্ডিকেট সিস্টেমের মাধ্যমে।
দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দ কলোনিতে পৌঁছে গেলেই মিলবে এই বস্তাবন্দী বালির খোঁজ, আর এখানেই টোটাল অপারেশন চলছে দিব্বি বুদ্ধি খাটিয়ে। কে রয়েছে এদের পেছনে???? কোন প্রভাবশালীর মদতে চলছে দিনে দুপুরে বেআইনি বালি চুরির এই রমরমা কারবার????বেআইনি বালি চুরির ঘটনাস্থল থেকে মাত্র দেড় থেকে দু কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কোকওভেন থানা আর মাত্র হাফ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারের সেচ দফতরের হেড অফিস, কিন্তু এই দুই সরকারী প্রশাসন যন্ত্রর কর্তাদের নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে দিনে দুপুরে দুর্গাপুর ব্যারেজের দামোদর নদের বর্ধমান সেচ ক্যানেলের মাঝখান থেকে দেদার বেআইনি পথে বালি চুরি চলছে বুক ফুলিয়ে তাও আবার দিনে দুপুরে। দুর্গাপুর সেচ দফতরের আধিকারিক সঞ্জয় মজুমদারের সাফাই কোনো রেয়াত করা হবে না, পুলিশ তার নিজের মতো করে কাজ করুক। অন্যদিকে,দুর্গাপুর তিন নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভীম সেন মন্ডলের সাফাই প্রশাসন তার নিজের মতো করে কাজ করুক, শাসক দলের মদতেই দুর্গাপুরের দামোদর নদের বর্ধমান সেচ ক্যানেল থেকে দিনে দুপুরে দেদার বালি চুরি হচ্ছে তোপ বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার দিনে দুপুরে এই বালি চুরি বন্ধে প্রশাসন কতটা সদর্থক ভূমিকা নেয়, আর কেনই বা কুম্ভকর্নের ঘুমে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন আর সেচ দফতর।