দুর্গাপুর, ৯ জানুয়ারি : মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে অভিযুক্ত হয়েছেন দলেরই আরেক নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মালদায় তৃণমূল নেতা খুনের পর এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি বিষ্ণুদেব নুনিয়াকে পুলিশি নিরাপত্তা দিল রাজ্য সরকার।আর তাই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কটাক্ষ বিজেপি নেতৃত্বের।
পশ্চিম জেলার জেলার মোট তিন তৃণমূল নেতাকে পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মালদায় তৃণমূল নেতা খুনের পর এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি বিষ্ণুদেব নুনিয়াকে নিরাপত্তারক্ষী দিল রাজ্য সরকার।

এক সশস্ত পুলিশকে এই তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হলো, যাকে নিয়ে এখন বিভিন্ন কর্মসূচিতে যাওয়া শুরু করেছেন ওই তৃণমূল নেতা বিষ্ণুদেব নুনিয়া।পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন তিনি, বিজেপি বাংলায় অশান্তি আবহ তৈরী করার চেষ্টা করছে আর যার জন্য পদাধিকারীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে রাজ্য সরকার প্রতিক্রিয়া পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি বিষ্ণুদেব নুনিয়ার। তৃণমূলের শাসনে তৃণমূল নেতাকে পুলিশ পাহারা নিতে হচ্ছে এর চেয়ে শাসক দলের নেতাদের কাছে লজ্জার আর কিছু হতে পারেনা পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রীদীপ চক্রবর্তীর। সূত্রের খবর, বিষ্ণুদেব নুনিয়া ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান জেলার আরো দুই নেতাকে পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, বাকি দু জন আসানসোলের।বিজেপি নেতা শ্রীদীপ চক্রবর্তীর আরও অভিযোগ যে, “” এরাজ্যে শাসকদলের নেতাদের দিনে দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় দিনে-দুপুরে গুলি করে খুন করা হচ্ছে।বিজেপি কে দোষারোপ করছে অথচ ধরা পড়ছে শাসকদলের নেতারা।মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আর সেই রাজ্যেই আইনশৃঙ্খলার এই হাল?এরাজ্যে আর আইনের শাসন নেই।মাফিয়াদের তোলাবাজদের রাজত্ব চলছে।””বিষ্ণুদেব নুনিয়া আগে সিপিআই(এম) এর “” ডাকাবুকো””নেতা হিসাবে খনি অঞ্চলে পরিচিত ছিলেন।রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি। কয়লা খনি অঞ্চলের শ্রমিক সংগঠনেও তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।