দুর্গাপুর, ৮ জুন: পুড়িয়ে দেওয়া সিপিএম নেতার মেয়ের সেলাইয়ের দোকানে কেন্দ্রীয় গণতন্ত্র বাঁচাও কমিটি এবং অল ইন্ডিয়া ল-ইয়ার অ্যাসোসিয়েশন । আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তুলে দেওয়া হল সেলাইয়ের মেশিন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার রাতেই দুর্গাপুরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মহুয়াবাগান এলাকার সিপিএমের পোলিং এজেন্ট মহম্মদ আলীর মেয়ে ফিরোজা খাতুনের সেলাইয়ের দোকানে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেইদিনই সিপিএম নেতৃত্ব ফিরজা খাতুনের সাথে কথা বলেন। তারপরের দিনই ডিউ ওয়াইএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও পৌঁছে যান ফিরোজা খাতুনের পুড়ে যাওয়া দোকান দেখতে। তার ঠিক দু’দিন পরেই শনিবার কেন্দ্রীয় গণতন্ত্র বাঁচাও কমিটির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল পৌঁছে ফিরোজা খাতুনের পাশে দাঁড়ান।মহুয়া বাগান ছাড়াও এস,এন,বোস,তানসেন, আইনস্টাইন রোড, হসপিটাল রোড এলাকাতেও যান এই প্রতিনিধি দল।।
অর্থ সহ তুলে দেওয়া হয় তিনটি সেলাই মেশিন। এই প্রতিনিধি দলে থাকা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মহম্মদ শামীম বলেন,”শুধু দুর্গাপুরেই নয় আমরা সারা রাজ্যজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে থানাতে থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। দিকে দিকে এইভাবে অশান্ত কর পরিবেশ যারা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার হবে। আমরা খবর পাওয়া সিপিএমের পোলিং এজেন্ট মো: মহম্মদ আলীর মেয়ে ফিরোজা খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাকে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস যুগিয়েছি। আজ কিছু সাহায্য করা পরবর্তীতে আরো সাহায্য করা হবে।”এ বিষয়ে ফিরোজা খাতুন বলেন,”এইভাবে পাশে দাঁড়ানোই আমি ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পেয়েছি। আমি এবং আমার পরিবারের সকলেই উপকৃত হয়েছে।”এদিকে সমালোচনায় সরব হয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,”উত্তরপ্রদেশে হিংসার ঘটনা ঘটছে সেইখানে তো কাউকে দেখা যায় না। আমাদের রাজ্যে কোন অশান্তের ঘটনায় ঘটে না তাই বিজেপির কাছে কিছু টাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানান প্রতিনিধি দল। কিন্তু বাংলার মানুষ রায় দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ঘরের মেয়ে।”