দুর্গাপুর, ২৪ মার্চ: বিজেপি নেতার বাড়িতে, পাত পেড়ে মধ্যাহ্নভোজন করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সাথে সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত শাড়ী উপহার দিলেন, বিজেপি কর্মকর্তার স্ত্রীকে।তাই নিয়ে বিজেপির অন্দরেও সমালোচনা শুরু হয়ে গেল। অনেকেই বলছেন ভোটারদের মন জয় করতে তৃণমূল কংগ্রেসের “”দাপুটে”” বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি এমন কাণ্ড ঘটালেন। কিন্তু নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সাফ জানালেন, “”রাজনৈতিক মতান্তর ছিল আজকে থাকবে কিন্তু আমরা পাণ্ডবেশ্বরের মানুষেরা সুখে দুঃখে এক সাথেই ছিলাম, আছি আর থাকব।””
বিজেপি নেতার বাড়িতে, পাত পেরে মধ্যাহ্নভোজন করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সাথে সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত শাড়ী উপহার দিলেন, বিজেপি কর্মকর্তার স্ত্রীকে।ভোটের আবহে এক অন্য চিত্র দেখা গেল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার জেমুয়া গ্রামে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির প্রার্থী ধর্মদাস গোপ, তিনি যথারীতি নেমন্তন্ন করে বিধায়ককে মধ্যাহ্নভোজন করালেন। ধর্মদাস বাবু বলেন, বিধায়ক সবার, দলমত নির্বিশেষে তিনি আমাদের বিধায়ক। মতের অমিল থাকলেও, তার কাজে আমরা আপ্লুত। আমি একজন বিজেপি কর্মী হলেও, এইখানে কোন রাজনৈতিক রঙ দেখছি না। অন্যদিকে বেশ খোশমেজাজে বিধায়ক বলেন, “”বর্তমানে বিজেপি কর্মী হলেও তিনি বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। এবং এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অন্যদিকে বর্তমানে তিনি বিজেপি কর্মী হলেও অতীতে কিন্তু তিনি তৃণমূলের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন। এটাই পাণ্ডবেশ্বর।।””যদিও বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত সমালোচনা করে বলেন, “”তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। তাই এসব নাটক শুরু করেছে। আবার পাল্টা আমাদের কর্মীদেরকেও ভয় দেখানো হচ্ছে। সেই ভয়েও এই ঘটনা ঘটতে পারে। “”রাজনীতিতে আজ সৌজন্যতাবোধ হারিয়েছে। একে অপরকে বেল আগাম আক্রমণ শানাচ্ছে যখন নির্বাচনের আবহে তখন এই ঘটনা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সৌজন্যতার নজির হয়ে থাকবে।