দুর্গাপুর, ২৮ জানুয়ারি : বেসরকারি গ্যাস উত্তোলক সংস্থার বর্জ্য মিশ্রিত জলে পড়ে জোড়া মৃত্যু। আশঙ্কাজনক আরো তিন। নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব এলাকাবাসী। মৃত দুই যুবকের নাম আকাশ বাদ্যকর (২৫) কাঁকসার জামবনের বাসিন্দা ও বছর ২৬ র অরূপ চৌধুরী মালদহের বাসিন্দা। আশঙ্কাজনক আরও তিন যুবককে প্রথমে দুর্গাপুরের শোভাপুর সংলগ্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ে বিধান নগরের বেসরকারি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে অন্যান্য দিনের মতোই সর্বভারতীয় বেসরকারি গ্যাস উত্তোলক সংস্থার দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পারুলিয়ার ২৪২ নম্বর পিটে কাজে যোগ দেয় ওই যুবকরা। আচমকা গ্যাস উত্তোলকের পর বর্জ্য মিশ্রিত জমা জলে পড়ে যায় পাঁচ ঠিকা শ্রমিক। সহকর্মীরা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে। তারপরেই তাদের স্থানীয়দের সহযোগিতায় শোভার সংলগ্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে আকাশ বদ্যকর ও অরূপ চৌধুরীকে বিধাননগরের বেসরকারি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা।

আরো তিন যুবক বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জামবনের বাসিন্দা উত্তম সিংহের অভিযোগ,”গ্যাস উত্তোলক সংস্থার গাফিলতির জেরেই আজ প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের। আমরা কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি করছি। এর আগেও একাধিকবার সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে শ্রমিকদের। ফের মৃত্যুর মুখে পড়তে হলো আমাদের পাড়ার আকাশকে ও মালদহের অরূপকে। কি কারনে এই ঘটনা ঘটলো তার জবাব দিতে হবে সংস্থার আধিকারিকদের।”উল্লেখ্য এই বেসরকারি গ্যাস উত্তোলক সংস্থার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অভিযোগ বিস্তর। গ্যাস উত্তোলক সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষীদের পদোন্নতি হওয়ার পরেও তাদের বেতন বাড়ানো হয় না এমনকি তাদেরকে আবার স্বপদে বহাল করে দেওয়া হয় এমন অভিযোগ উঠেছিল মাত্র কয়েকদিন আগে। বেসরকারি গ্যাস উত্তোলক সংস্থার কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে এবার প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিল।





