বেসরকারি উদ্যোগে বিস্তীর্ণ খনি অঞ্চল ও বীরভূমের বাসিন্দাদের জন্য বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি হতে চলেছে অজয়ের তীরে

দুর্গাপুর, ২১ জানুয়ারি : বিস্তীর্ণ খনি অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ বাসিন্দাসহ বীরভূমের একটা বড় অংশের মানুষদের জন্য এবার অজয়ের পাড়ে তৈরি হতে চলেছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। ২০২৬ র ২৬ জানুয়ারির মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই চুল্লী বলে জানান উদ্যোক্তা দে গ্রুপের ডাইরেক্টর সন্দীপ দে।মহৎ উদ্যোগ শিল্পপতির। খুশি এলাকাবাসী। শীত, গ্রীষ্ম বর্ষায় অজয়ের চরে মৃতদেহ দাহ করতে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হত গোটা পাণ্ডবেশ্বরসহ খনি অঞ্চলের মানুষকে। এবার সেই সমস্যার হতে চলেছে চিরস্থায়ী সমাধান। মঙ্গলবার দুপুরে সেই বৈদ্যুতিক চুল্লির কাজের সূচনা করলেন পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত সহ বিশিষ্ট জনেরা। দুর্গাপুরের বিশিষ্ট শিল্পপতি সন্দীপ দে দীর্ঘদিন থেকে মানুষের কাছে সেই সমস্যা কথা শুনেছিলেন। দীর্ঘদিন থেকেই ভেবেছিলেন বৈদ্যুতিক চুল্লি করার কথা। শেষমেষ সেই কাজের সূচনা হলো। আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করে করা হবে এই কাজ। খুশি এলাকাবাসীরা। সন্দীপ দে বলেন,”আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করে করা হচ্ছে বাবার স্মৃতিতে এই বৈদ্যুতিক চুল্লি। বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেড। আমরা সেই আবেদনও করেছি ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের কাছে। চরম খুশি এলাকাবাসীরা।

“পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন,”দুর্গাপুরের বীরভানপুরে একটি মাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লি ছিল। সেই চুল্লির উপর ভরসা করে গোটা দুর্গাপুরের মানুষকে থাকতে হতো। এবার এই চুল্লিটির কাজ শেষ হলে উপকৃত হবে বহু মানুষ। সরকারের একা পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয়। এই ধরনের ব্যক্তি উদ্যোগকে আমরা কুর্নিশ জানাই। তবে এই চুল্লিটির দেখভালের দায়িত্ব করবে পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি। তারাই লোক নিয়োগ করবে।””সামাজিক উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না এমন অভিমত পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়কের। আগামী বছর জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে এই বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হয়ে যাবে বলেও আশাবাদী উদ্যোক্তা বেসরকারি সংস্থার কর্ণধাররা।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ