বেঙ্গালুরু থেকে পরিযায়ী শ্রমিকের নিথর দেহ ফিরতেই উত্তাল কাঁকসার পানাগড়

দুর্গাপুর, ২১ ডিসেম্বর: বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে মৃত্যু হলো দুর্গাপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। আজ শ্রমিকের মৃতদেহ দুর্গাপুরের কাঁকসার পানাগড় এ ঢোকা মাত্রই ধুন্দুমার কান্ড ঘটে গেল। ফের ময়না তদন্ত আর অভিযুক্তর গ্রেপ্তারের দাবিতে শবদেহ গাড়ির সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করলো পুলিশ। খুনের অভিযোগ পরিবারের ।
এই বাংলায় কাজ না পেয়ে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়ে বিপদ,দুর্গাপুরের কাঁকসার পানাগড় ক্যানেল পাড় এলাকার বাসিন্দা বছর ৩২ এর সতীশ মন্ডল মাস দুয়েক আগে রবি সরকার নামে পাড়ারই এক ঠিকাদার রবি সরকারের সাথে কাজ করতে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে সতীশের মৃত্যু হয়, পরিবারের অভিযোগ, টাকার লোভ দেখিয়ে মৃত্যুর ঘটনা চেপে যেতে বলেছিল অভিযুক্ত ঠিকাদার।কাঁকসা থানার দ্বারস্থ হয় সতীশের পরিবার। অভিযোগ,এই রবি সরকারই মাস বেতন চাওয়ার অপরাধে সতীশকে খুন করে,পরিবারকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মৃতদেহ বেঙ্গালুরুতেই সৎকার করার কথা বলে রবি সরকার এমনটাই অভিযোগ। আজ বেঙ্গালুরু থেকে সতীশের মরদেহ দুর্গাপুরের পানাগড় ক্যানেল পারে তার বাড়িতে ঢোকার মুখে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, শবদেহ গাড়িতে অভিযুক্ত ঠিকাদার রবি সরকারকে দেখা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় জনতা ও মৃতের পরিবার পরিজন। ফের ময়না তদন্ত সাথে অভিযুক্ত ঠিকাদার রবি সরকারকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে শবদেহ বাহী গাড়ির সামনে বসে পড়ে স্থানীয়রা তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে, মৃতদেহ ফেলে রাখা হয় রাস্তার ওপর। কাঁকসা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদেরকে ঘিরে ধরেও উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ শুরু করে দেয়, বিক্ষোভের মাঝেই অভিযুক্ত ঠিকাদার রবি সরকারকে শবদেহ গাড়ি থেকে নামিয়ে তাড়া করে উত্তেজিত জনতা, কোনোক্রমে পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত ঠিকাদারকে উদ্ধার করে পুলিশ গাড়িতে তুলে নেয়। শুরু হয় গোটা ঘটনাকে ঘিরে ধুন্দুমার পরিস্তিতি। সতীশের মরদেহ ছাড়তে অস্বীকার করে স্থানীয় জনতা।মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুবিচারের দাবি জানায় মৃত পরিযায়ী শ্রমিক সতীশের পরিবার। এইদিকে এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক পারদও চড়তে শুরু করে। শাসক বিরোধী তরজাও শুরু হয় এই ঘটনায়।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *