রাজ্যজুড়ে ১৮ জেলায় আংশিক কর্মবিরতির ডাক অ্যাম্বুলেন্স চালক ও পাইলট এটেনডেন্ট কর্মীদের। আজ এমনই ছবি উঠে এলো বাঁকুড়ার জয়পুরে।সোনামুখী ইন্দাস পাত্রসায়ের কোতুলপুর জয়পুর এই পাঁচ ব্লকের অ্যাম্বুলেন্স চালক ও পাইলট অ্যাটেনডেন্ট কর্মীদের বিক্ষোভ জয়পুরে।জেলার একাধিক কর্মীকে বিনা কারণে শোকজ ধরিয়েছেন জেলার ই এম আর আই গ্রীন হেলথ সার্ভিসের আধিকারিকেরা।রাজ্যজুড়ে ১০২ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার জন্য রাজ্য সরকার এক কোম্পানির মাধ্যমে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ করেন। এবার সেই কর্মীদের বেতন সহ গাড়ির মেন্টেন খরচ সহ একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের দাবি ভাঙাচোরা অ্যাম্বুলেন্স নেই কোন কোন গাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার, নেই অক্সিজেন মাস্ক, জোড়া জীর্ণ গাড়ির দরজা, নেই লাইট,না রয়েছে গাড়ির টায়ারের বিট, অ্যাম্বুলেন্স গাড়ির ছাদ থেকে বৃষ্টি হলেই পরে জল, নেই হর্ন ও ফার্স্ট টেট এর ব্যাবস্থা রাস্তার মাঝে টায়ালিক হয়ে গেলে নেই কোন যন্ত্রপাতি,এই অবস্থাতেও দিনের পর দিন চলছে বিনামূল্যে প্রস্তুতির মায়েদের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। অনেক দুর্ঘটনায় ঘটেছে অ্যাম্বুলেন্সসের তার দায় নিতে হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের। আর অ্যাম্বুলেন্সের মেন্টেনের কথা বলতে গেলেই জেলার আধিকারিকদের কাছ থেকে শুনতে হয়েছে হুমকির কথা। করেছেন শোকজ, কাটা হয়েছে বেতন, তার উপর অন্য জেলায় ট্রান্সফার করে দেয়ার হুমকি এ দিকে সময়মতো বেতন ঢোকে না ঠিকঠাক বেতন মাত্র ১১ হাজার এর কিছু বেশি সেই নিয়ে ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে হয় অ্যাম্বুলেন্স চালক সহ সহকর্মীকে। এভাবেই দিনের পর দিন ডিউটি করছিল কর্মীরা, মুখ বুঝে ছিলো এতোদিন কিন্তু কোথায় বলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যা হয়,কোথায় বলেনা একই ঘরে ভাতের চাল নেই তার উপর ঘরে কুটুম। অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু ফাঁদের কথা রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন ও লেবার কমিশন এর কাছে বার বার চিঠি পাঠালেও তার সদুত্তর মেলেনি এবং আন্দোলনকারীদের সাথে বসে আলোচনাও করেননি এমনটাই অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। তাই তারা একেবারে সম্পূর্ণ কর্ম বিরতিতে যেতে চলেছেন বলে জানান ।