বাম আমলের পরে আর বাড়েনি বেতন, দুর্গাপুরের ডিপিএল কারখানায় ঠিকা শ্রমিক আন্দোলন

দুর্গাপুর, ২৮ ফেব্রুয়ারী : ২০০৯ সালে বাম সরকারের সময়কালে শেষবার বেতনচুক্তি হয়েছিল রাজ্য সরকারের তাপবিদ্যুৎ কারখানার ঠিকা শ্রমিকদের।তারপর দামোদর দিয়ে বহু জল গড়ালেও আর দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরে ঠিকা কর্মীদের বেতন চুক্তি হয়নি।সিপিআই(এম) এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার অভিযোগ করে বলেন, “”এর আগে ২০১১ সালের পর থেকে যতবার রাজ্য সরকারের এই তাপবিদ্যুৎ কারখানায় ঠিকা শ্রমিকরা আন্দোলন করতে গেছেন,ততোবারই তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী তাদের মেরে সরিয়ে দিয়েছে । বহু বছর পরে আজ তাপবিদ্যুৎ কারখানায় ঠিকাসমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবি জানানোর সুযোগ পেল। “”ন্যায্য অধিকারের দাবি। দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের গেটের সামনে বিক্ষোভে CITU। CITU নেতৃত্বের দাবি ঠিকা শ্রমিকদের ৩০দিনের কাজ দিতে হবে। নূন্যতম মাসিক ২৬হাজার টাকা বেতন দিতে হবে। পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, “”ডিপিএলের আবাসন বেআইনি দখলদারদের হাতে দিতে। অবিলম্বে এই আবাসন গুলিকে খালি করে ঠিকা শ্রমিকদের জন্য তা তুলে দেওয়া হোক। “”এইসব দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার।বর্তমানে রাজ্য সরকারের এই তাপ বিদ্যুৎ কারখানায় প্রায় 1400 ঠিকা শ্রমিক রয়েছে। যাদের মাসিক বেতন এই মুহূর্তে ৭২০০ টাকা। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের এই তাপ বিদ্যুৎ কারখানায় ঠিকা শ্রমিকদের এই আন্দোলন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “” সিআইটিইউ ভোটের আগে আবার নেমে পড়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিক দরদী একজন মুখ্যমন্ত্রী। শ্রমিক কল্যাণের কথা তিনিই ভাবেন।দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলকে যারা শ্মশান করে দিয়ে গেছে তাদের মুখে শ্রমিক দরদের কথা মানায় না। “”

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *