দুর্গাপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর : “”কেন্দ্রীয় সরকার এবার ডিভিসি কে বেসরকারি হাতে বিক্রি করতে চাইছে। বাংলার মানুষকে জলে ডোবাতে চাইছে “- উত্তাল দুর্গাপুর ব্যারেজ এবং বন্যা কবলিত দামোদর ঘাসা সীতারামপুর গ্রামের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পর রাস্তায় তো ডিভিসির বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ার কারণে দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভৌগোলিকভাবে দুর্গাপুর ব্যারেজের দুর্গাপুরের দিকে থাকা সীতারামপুর গ্রামে সোমবার বিকেলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর দুর্গাপুর ব্যারেজের পাশে না গিয়ে দামোদর তীরবর্তী সিতারামপুর এলাকার যুব আবাস ভবনে আসেন।সীতারামপুর, মানা সহ বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া ব্লকের নদী তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রাম সপ্তাহখানেক আগে ডুবে গিয়েছিল। সেই সমস্ত গ্রামেরবন্যা কবলিত বাসিন্দাদের হাতে প্রাণ সামগ্রী তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী সড়কপথে দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন সীতারামপুর গ্রামে। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও বাঁকুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনী লক্ষ্য করা যায়। বন্যা কবলিত এলাকার হাজার হাজার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য দুপুর থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাস্তার পাশে।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, বাঁকুড়ার সংসদ অরূপ চক্রবর্তী, পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় সহ বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন পদাধিকারীরা,বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন । আমাদের তীরবর্তী বন্যা কবলিত এলাকার বন্যা দুর্গতদের হাতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপল চাল ডাল সহ বিভিন্ন প্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।