বাঙলাদেশ সরকারের প্রতীক সম্বলিত পোষ্টার সরকারি হাসপাতালে দিল কারা??

দুর্গাপুর, ৮ ফেব্রুয়ারী : দুর্গাপুরের সরকারি মহকুমা হাসপাতালে মাতৃসদনের বাইরের দেওয়ালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতীক চিহ্ন আঁকা একটি পোস্টারকে ঘিরে শুধু বিতর্ক নয়, এবার ওই পোস্টার কে বা কারা লাগালো? তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হল।শুক্রবার এই ঘটনার সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসার পর শনিবার ভারতীয় জনতা পার্টির তিন নম্বর মন্ডলের নেতাকর্মীরা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বাইরে বিক্ষোভ দেখান এবং সুপার ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পদত্যাগের জোরালো আওয়াজ তোলেন। কিন্তু দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার ডা: ধীমান মন্ডলের বক্তব্যে এই পোস্টার দেওয়াকে কেন্দ্র করে রহস্য ঘনীভূত হল।তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “”এরকম কোনও পোস্টার তিনি নিজের চোখে হাসপাতালের কোন দেওয়ালে এখনও পর্যন্ত দেখেননি। সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে এই পোস্টার আমি দেখেছি। আমরা ওই পোস্টার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তুলেও ফেলিনি। পুলিশকে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখবে। “”

সুপারের বক্তব্যকে সামনে রেখে তাহলে বলা যায় এই পোস্টটা লাগালেন কারা? আবার এই পোস্টারটিকে তুলে ফেলল কারা? যে পোষ্টারটি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মাতৃ সদনের বাইরে দেওয়া ছিল তাতে কিন্তু স্পষ্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতীক চিহ্ন দেওয়া ছিল। এমন পোস্টার এল কোথা থেকে? সব মিলিয়ে বিরাট রহস্য ঘনীভূত হয়েছে এই পোস্টার কে ঘিরে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান, “”এ রাজ্যের যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনিই হলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবার তিনিই হচ্ছেন পুলিশ মন্ত্রী। রাজ্যের সমস্ত সিস্টেম ভেঙ্গে পড়েছে। অতি সুকৌশলে পশ্চিমবঙ্গ কে পশ্চিম বাংলাদেশ করার একটা চক্রান্ত চলছে।এর বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। “” তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যদিও দাবি করা হচ্ছে এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল। পুলিশের কাছে অনুরোধ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার পরে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ