দুর্গাপুর, ১২ জানুয়ারি: এতদিন পর্যন্ত দুর্গাপুর বাঁকুড়ার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল রাজ্য সড়ক। দুর্গাপুর থেকে যদি বাঁকুড়া যেতে হয় তাহলে ওড়িশা নয়াগ্রাম সীমানাদামী ৯ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরেই যেতে হতো। তবে এবার থেকে এই পথ পাড়ি দেওয়া যাবে ট্রেনে চড়ে। রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সমীক্ষার কাজ। এমনটাই বলছেন বিষ্ণুপুরের সংসদ সৌমিত্র খান। বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম পথে রয়েছে বেলিয়াতোর স্টেশন। স্টেশন থেকে আবার দুর্গাপুরের দূরত্ব প্রায় ২৮ কিলোমিটার। আর সে কারণেই দুর্গাপুর এবং বাঁকুড়ার মধ্যে যোগাযোগের সরাসরি এবং বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে উঠবে শীঘ্রই। দামোদরের দক্ষিণের জেলাগুলির সঙ্গে দুর্গাপুরে সরাসরি যোগাযোগ হবে তৈরি। ওই সব জেলাগুলি থেকে দুর্গাপুরে কৃষিজ পণ্য আসবে সহজেই। আর এটি সুবিধা হবে দুর্গাপুরবাসীর। একইসঙ্গে বড়জোড়া শিল্প তালুক এবং খনি অঞ্চলের সঙ্গে দুর্গাপুরের যোগাযোগ বাড়বে। তাহলে প্রসার হবে শিল্পের।আসলে শহর দুর্গাপুরে রয়েছে প্রচুর বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, নামি দামি স্কুল এবং কলেজ। ফলে প্রত্যেকদিন দুর্গাপুরে বহু ছাত্র-ছাত্রীকে যাতায়াত করতে হয়। আবার কর্মসূত্রে দুর্গাপুরের বহু মানুষ যেমন প্রতিদিন যান বাঁকুড়ায় তেমন উল্টোটাও ঘটে। বিশেষ করে দুর্গাপুরের বহু বেসরকারি কারখানায় বাঁকুড়ার অনেক ঠিকা শ্রমিকেরা কাজ করেন। তাদের প্রত্যেকদিন যাতায়াত করতে হয়। সড়কপথে এই যাতায়াত যথেষ্ট সমস্যার। তাই এবার তৈরি হচ্ছে রেলপথ। এতে একদিকে যেমন নিত্যযাত্রীদের হবে সুবিধা, ঠিক তেমনই ব্যবসার দিক থেকেও হবে উন্নতি। সাংসদের কথায়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে এই রুটটির রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, সম্প্রতি রেলমন্ত্রী তাকে চিঠি দিয়ে এই রুটে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। যদিও রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, সমীক্ষা করা মানেই যে রেলপথ গড়ে উঠবে এমনটা নয়। বরং সমীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখে যদি সেই রুট লাভজনক বলে রেল বোর্ডের মনে হয় তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
