দুর্গাপুর, ২৯ ফেব্রুয়ারী : বাবা-মায়ের পিণ্ড দান করতে গিয়ে গয়াতে 12 বৎছর আগে নিঁখোজ যাওয়া ব্যক্তিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে চিনতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রশান্ত কোলের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা।যেদিন তাকে দেঝলেন সেদিনই তার ঘটা করে আয়োজিত শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বন্ধ করলেন পরিবার।।বাঁকুড়ার হেতিয়া গ্রামের এই অবাক ঘটনায় বিস্মিত এলাকাবাসী।। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের হেতিয়া গ্রামের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের হেতিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন বাবা-মা ও পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনার উদ্দেশ্যে, গিয়েছিলেন বিহারের গয়াতে পিন্ডদানের জন্য। সেখান থেকেই রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় প্রশান্ত কোলে। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও খোঁজ মেলেনি প্রশান্তর। তারপরেই বাড়ির লোকের কাছে প্রশান্তর মৃত্যু সংবাদের খবর আসে । নিয়মমাফিক ১২ বছর পূর্ণ হওয়ায় বাড়ির ছেলে মেয়েরা হিন্দু শাস্ত্র মতে ঘটা করে আয়োজন করেছিল শ্রাদ্ধশান্তি অনুষ্ঠানের।সেই ১২ বছর ধরে নিঁখোজ প্রশান্ত কোলেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পান বাড়ির লোক। তিনি রাস্তায় পথ হারিয়ে পথভোলা পথিক হয়ে ১২ বছর ভবঘুরের মত ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল দেশের বিভিন্ন শহরে।প্রশান্ত খুঁজে পাচ্ছিল না তার বাড়ির ঠিকানা।
হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাওয়া যায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা প্রশান্তর চুল, দাড়ি কেটে তাকে নতুন পোশাক পরিয়ে দিচ্ছেন। আর তারপরেই আসল রূপ বেরিয়ে আসায় চিনতে পারেন বাড়ির ও গ্রামের লোকেরা। যোগাযোগ করা হয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে। সন্ধান পাওয়া যায় প্রশান্ত কোলের। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য অনেক কিছুই সম্ভব তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল প্রশান্তের এই ভিডিও। বাড়ীর লোকের কাছে মারা যাওয়া ব্যক্তি ফিরে আসছেন বাড়িতে। ১২ বছর ধরে অনেক দুঃখ কষ্ট আগলে ধরে বুক ভাসাচ্ছিলেন ওনার স্ত্রী আভা কোলে। এতদিন ধরে গুমরে গুমরে কাঁদলেও হঠাৎ তার স্বামীকে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখতে পাওয়ায় আনন্দে কেঁদে ফেললেন আভা। সকলের কাছে কাতর আর্জি জানান তার স্বামীকে দ্রুত তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।।