পুরী,১৪ মার্চ : কথিত ইতিহাস অনুসারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আনুমানিক বয়স প্রায় ১৫০০ বছর আবার স্কন্দ পুরাণ মতে এই মন্দিরের বয়স আরও প্রাচীন। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির ও বিগ্রহ দর্শন যেমন অত্যন্ত পুণ্যলাভ বলে মনে করেন ধর্মপ্রাণ ভক্তবৃন্দরা। তেমনই আবার জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পাশাপাশি জগন্নাথ দেবের সারাদিনের ৬ বার ভোগ তৈরি হয় যে রন্ধনশালায় সেই রন্ধনশালা দেখার জন্য বছরের পর বছর উৎসুক লক্ষ কোটি ভক্তবৃন্দরা। একমাত্র এই মন্দিরে যারা জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্না করেন তারা পেট ভরে খাবার খেয়ে তারপর ভোগ রান্নার কাজ শুরু করেন। মন্দিরের বাইরে বিভিন্ন সবজি কাটা জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্নার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামগ্রী পৌঁছানো জলের যোগান দেওয়ার মোট প্রায় দু হাজার জন কর্মী নিযুক্ত। আর রান্নার কাজ করেন প্রায় 5000 জন রাঁধুনি।
সারাদিনের ছ’বার জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্না হয়।তারজন্য কি কি সব্জি রান্নাঘরে ঢোকেনা তা কি আপনি জানেন?কেনই বা সেই সব্জী রান্না হয়না? পুরীর রন্ধনশালায় নিযুক্ত এক প্রবীন রাম শঙ্কর পাণ্ডা জানালেন, “”বিদেশি সবজি বলে প্রচলিত যেগুলি যেমন টমেটো, আলু,কাঁচা লঙ্কা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম এখানে রান্না করা যায় না। এখানে দেশি সবজি কুমড়ো, বেগুন, পটল, মুলো, রাঙ্গা আলু ইত্যাদি সবজি রান্না করা হয়। “”অর্থাৎ যে সকল সবজি বিদেশি তকমা প্রাপ্ত সেগুলির ব্যবহার যেমন জগন্নাথ দেবের ভোগে হয় না পাশাপাশি খুব অবাক করার মত ঘটনা আলুর ব্যবহার জগন্নাথ দেবের ভোগে হয় না। কারণ জগন্নাথ দেবের রন্ধনশালার পাচক যারা তারা বলছেন আলু এদেশের সবজি নয়।