দুর্গাপুর, ১ ফেব্রুয়ারী :দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোন হর্ষবর্ধন রোডের বাসিন্দা অমিত সরকার পেশায় গান এবং আঁকার শিক্ষক।তিনি নিজস্ব বাসভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের গান এবং ছবি আঁকা শেখান।২০০৫ সাল থেকে অমিতবাবুর নেশা এবং ইচ্ছে তিনি বাগদেবী নিজের হাতেই তৈরি করবেন। এবছর অমিতবাবু পাস্তা দিয়ে সরস্বতীর মূর্তি তৈরি করেছেন। এবার পাঁচটা দিয়ে তৈরি সেই বাগদেবীর আরাধনা হবে অমিত সরকারের নিজস্ব সংগীত এবং অঙ্কন প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়ে।নানান ধরনের এবং নানান আকৃতির পাস্তা দিয়েই তৈরি হয়েছে বাগদেবী। দীর্ঘ প্রায় দেড় থেকে দুই মাস ধরে অমিত সরকার এই অভিনব বাগদেবীর মূর্তি তৈরি করছেন। যদিও ২০০৫ সাল থেকেই তার বিদ্যালয়ে প্রত্যেক বছর বাগদেবীর মূর্তি তৈরিতে অভিনবত্ব থাকে। তার স্কুলের শিক্ষার্থীরাই শুধু নয় বহু মানুষ এই আকর্ষণীয় বাগদেবীর মূর্তি দেখতে ছুটে আসেন তার স্কুলে। শুরুটা করেছিলেন কাঁচ ভাঙ্গা দিয়ে সরস্বতীর মূর্তি তৈরি করে। শিক্ষার্থী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন অমিতবাবুর এই সৃষ্টিকে। তারপর থেকে তিনি আর থামেননি।

অমিত সরকার জানান, “”নিজের বিদ্যালয়ের সরস্বতী মূর্তি নিজেই তৈরি করবেন এমন ভাবনা থেকে কখনো কাঁচভাঙ্গা,কখনও চাল ডাল, খই,কখনও রঙিন ইরেজার, আবার কখনও রঙীন তুলো কিম্বা শুকনো সজনে ডাঁটা দিয়ে বীণাপণির মূর্তি গড়েছি।”” ২১ বছর ধরে নিজের স্কুলের ঠাকুর নিজের হাতে তৈরি করে পুজো করেন। প্রত্যেক বছর নিজের হাতে নানা রকম ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে উনি ঠাকুর তৈরি করেন। পাস্তার তৈরি এই বাগদেবীর মূর্তি তৈরিতে অন্যান্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কাগজ এবং কাপড়ের মন্ড,হ্যান্ডমেড পেপার, গোল্ডেন কালার, আঁঠা, চুমকি।শিক্ষক অমিত সরকার এভাবেই বছরের পর বছর অভিনব বাগদেবীর মূর্তি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।