পাকিস্তানের জঙ্গী নিধনে তারাপীঠ মহাশ্মশান থেকে অগ্নিবান নিক্ষেপ

তারাপীঠ, ২৭ এপ্রিল : সম্প্রতি কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গীহানায় নিরীহ পর্যটকদের লাল রক্তে কাশ্মীরের পহেলগাঁও এর সবুজ গালিচা রক্তাক্ত হয়েছে।ক্ষতবিক্ষত হয়েছে কোটি কোটি ভারতীয়দের হৃদয়। পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী বারবার নিরীহ ভারতবাসীর উপর আক্রমণ শানিয়েছে। কিন্তু দেশবাসীর ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে। জোরালো আওয়াজ উঠছে, “এবার সময় এসেছে পাকিস্তানি জঙ্গিবাদকে স্ব-মূলে নষ্ট করার।””দুর্গাপুরের ইন্দ্রপ্রস্থ আদ্যাশক্তি মহাপীঠ সপ্তপীঠের মন্দির ও সেবাশ্রম সঙ্ঘ এর প্রতিষ্ঠাতা তারাপীঠ মহাশ্মশানে তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধিলাভ করা তন্ত্রসাধক শ্রী শ্রী অমৃতদাস মহারাজ প্রতি অমাবস্যার নিশিতে মহাশ্মশানে যাগযজ্ঞ সহকারে মা তারার উপাসনা করেন অগনিত ভক্তবৃন্দদের নিয়ে।সাম্প্রতিক কাশ্মীরের ঘটনায় ব্যাথিত,মর্মাহত শ্রী শ্রী অমৃতদাস মহারাজ।

কেন এই হত্যালীলা? মহারাজ তাই বৈশাখী আমাবস্যার অন্ধকার রাতে তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ করলেন কাশ্মীরে জঙ্গীদের গুলিবর্ষনে জীবন যাওয়া নিরীহ পর্যটকদের আত্মার চিরশান্তি লাভ কামনায়। শ্রী শ্রী অমৃতদাস মহারাজ বলেন,”” ধর্মের নামে যারা আজ এই মানবহত্যালীলায় মত্ত তাদের বিনাশ চাই।এরা মানবতার শত্রু।পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া লালিত হওয়া এই জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে তন্ত্রসাধনা করে এই অগ্নিবান নিক্ষেপ।এই জঙ্গীবাদের পরিসমাপ্তি ঘটবেই ঘটবে।মহাশ্মশানের পবিত্র মাটিতে তন্ত্রসাধকের সাধনাক্ষেত্র।এই পুন্যভুমি থেকেই তাই এই অগ্নিবান নিক্ষেপ।ভারতীয় সেনার আক্রমণ সহ্য করার মত ক্ষমতা থাকবে না জঙ্গীদের।তাদের বিনাশ সময়ের অপেক্ষা।

“”গোটা দেশ তাকিয়ে পাকভুমিতে জন্ম নেওয়া এই জঙ্গীবাদকে স্ব-মূলে বিনষ্ট করতে ভারতবর্ষের সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় তার জন্য।তন্ত্রগুরু স্বয়ং বামদেব সহ বহু তন্ত্র ও অঘোরি সাধকের সাধনভুমি এই তারাপীঠ। বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি ভক্তবৎসলরা এই ভূমিতে আসেন মনের অভিলাষা ইচ্ছে পুরনের আশায়।তাই এবার এই পবিত্র মাটি থেকেই অমাবস্যার ঘোর নিশিতে নিক্ষেপ হওয়া অগ্নিবান যে পাকিস্তানি জঙ্গীবাদকে সাফ করবে সে সম্পর্কে আশাবাদী ভক্তকূল।শ্রী শ্রী অমৃতদাস মহারাজের কথায়,””কলির অবসান ঘটবেই ঘটবে, আসবে সত্যযুগ। আবার এই ধরনীর ধুলা পবিত্র হবে, ধর্মের বিজয় কেতন উড়বে।অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটবেই ঘটবে।””

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ