দুর্গাপুর, ১ মার্চ: শুক্রবার ভোরে দুর্গাপুর থানার ভিরিঙ্গি মোড় সংলগ্ন ১৯নং জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার। তারপর দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠালো পুলিশ। কিন্তু যুবকের পরিচয় পাওয়ার পরেও ময়নাতদন্ত হলো অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবেই। তারপরেই শনিবার সকাল থেকে নিউ টাউনশিপ থানার বিধান নগর ফাঁড়ির সামনে ক্ষোভে ফেটে পরলো পরিবার। মৃত যুবকের নাম সোমনাথ প্রামানিক (২৭)। আসানসোলের সালানপুর থানার নেতাজি কলোনির বাসিন্দা। মাছের গাড়ির চালক ছিল। ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর কমিশনারের কাছে মেইল মারফত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।

মৃতের মা শেফালী পারামানিকের অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার রাতে দাদা খালি গাড়ি নিয়ে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মাছ আনতে। সকাল থেকে ফোন করার পরেও সোমনাথ ফোন ধরে নি। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা ৭ নাগাদ দুর্গাপুর থানার ওয়ারিয়া ফাঁড়ি থেকে ফোন করে বলা হয় সোমনাথ জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা কবলে পড়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি আছে সোমনাথ বলেও জানানো হয়। আমরা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছায়। এসে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গেছে। ময়নাতদন্তও হয়ে গেছে। পুলিশের রাউন্ড গাড়ির সাথে সোমনাথের পিকআপ ভ্যানের ধাক্কা হয়েছিল। তবে সোমনাথের মৃত্যুর পর এইভাবে কেন ময়না তদন্ত করা হলো আমরা তার বিচার চাইছি।ওকে ভর্তি করার পরে ও সুস্থ ছিল বলে পাশাপাশি ভর্তি থাকা রোগীরা জানিয়েছে।ওর গোপনাঙ্গে আঘাত ছিল।ওকে মারধোর করেছিল বলে মনে হচ্ছে”””।

হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মন্ডলের দাবী,”অজ্ঞাত পরিচয় হিসাবে যুবকের মৃত দেহ আনা হয়েছিল। পুলিশ কেস রেজিস্টার করে হাসপাতালকে জানালে ময়নাতদন্ত করা যায়।” ক্যামেরার সামনে না বলতে চাইলেও মৌখিকভাবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়,”ওদের পরিবারকে জানানো হয়েছিল। সময়ে না আসায় ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। উনারা চাইলে আদালতে মামলা করে পুনরায় ময়নাতদন্ত করাতে পারেন।””মৃতের পরিবার পরিজনেরা নিছক দুর্ঘটনায় মারা গেছে তাদের বাড়ির ছেলে এটা মানতে নারাজ।তারা ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশের ভুমিকাতে সন্দেহ প্রকাশ করার পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।