দুর্গাপুর, ২১ জানুয়ারি : শুধু পঞ্চায়েত সেক্রেটারি নয়, একই সাথে এক ঠিকাদারের জন্মদিন পালিত হল পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরেই। পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান সবাই হাজির ঐ অনুষ্ঠানে। দুর্গাপুরের অন্ডালের উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় তৈরী হলোল রাজনৈতিক বিতর্ক। সমালোচনায় সরব বিজেপি নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত অফিসেই পঞ্চায়েত সেক্রেটারি ইন্দ্রজিত মিশ্রর বার্থ ডে সেলিব্রেশন একই সাথে বার্থ ডে সেলিব্রেশন হলো পঞ্চায়েতের ঠিকদার গৌতম সরকারেরও। ছবিটা দুর্গাপুরের অন্ডালের তৃণমূল পরিচালিত উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতে। খোদ পঞ্চায়েত প্রধান মীনা কোলে ও উপপ্রধানের স্মরণ সাইগল উপস্থিতিতেই সরকারী অফিসে পালিত হলো দু জনের বার্থ ডে সেলিব্রেশন। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের ভেতর জন্মদিন পালনের সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল। বিতর্কে উখরার গ্রাম পঞ্চায়েত। কিভাবে একটা সরকারী অফিসে খোদ পঞ্চায়েত সেক্রেটারি ও এক ঠিকাদারের জন্মদিন পালন হয়ে গেলো সেটাও আবার পঞ্চায়েত প্রধান উপপ্রধানের উপস্থিতিতে তা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু। এর মধ্যে খুব একটা অন্যায় দেখছেন না উখরা পঞ্চায়েত প্রধান মীনা কোলে। অন্যদিকে এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিনা কোলে সাফাই দিয়ে বলেন, “”জন্মদিন ছিল পঞ্চায়েতের সেক্রেটারির, আমরা জানতে পারি আমাদের এই এলাকার ছেলে যে ঠিকাদার তারও একই দিনে জন্মদিন। সেই হিসাবেই ঠিকাদারের জন্মদিন পালিত হয়েছে। তবে তাকে ঠিকাদার বলে আমরা মনে করিনি। তিনি আমাদের এলাকার বাসিন্দা এই হিসাবেই পালন করা হয়েছে।””যদিও এর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা শ্রীদীপ চক্রবর্তী বলেন,””হাজার হাজার মানুষ পঞ্চায়েত ভবনে নিজেদের কাজ করাতে গিয়ে একটু বসার জায়গা পান না। আর সেখানেই কিনা ঠিকাদারের জন্মদিন পালিত হল। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। ঠিকাদারের সাথে তাহলে কি কোন গোপন আঁতাত রয়েছে? সেটা ভাবাই স্বাভাবিক। আমরা সাধারণত জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু সরকারি ভবনে একজন ঠিকাদারের জন্মদিন পালন এটা তৃণমূল কংগ্রেস করতে পারে। “” এর আগে বহুবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারী অফিসে সরকারী কর্তাদের এমনকি শাসক দলের নেতাদের বার্থ ডে সেলিব্রেশনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, বিতর্ক তৈরী হয়েছে, তার পরেও যে শাসক দল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, নেতা নেত্রীদের হুশ যে ফেরেনি অন্ডালের উখরা পঞ্চায়েতের এই ঘটনা সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে আরো একবার দেখিয়ে দিল।
