দুর্গাপুর, ২০ মার্চ: সরকারি প্রকল্পের ‘কাটমানি’ নিয়ে প্রধানের সাথে দর-কষাকষি ঠিকাদারের। এই ভিডিও বিজেপি নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই শুরু হলো বিতর্ক। ভিত্তিহীন অভিযোগ পাল্টা দাবি প্রধানের। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস বিডিওর।দেখুন সেই ভিডিও এবং ঠিকাদার ও পঞ্চায়েত প্রধানের কথপোকথনের ভাইরাল ভিডিও….
(এই ভিডিও র সত্যতা যাচাই করেনি নিউজহান্ট)
বুদবুদের মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ডালিয়া লাহা। সম্প্রতি বিজেপির নেতা পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে তার সাথেই এক ব্যক্তির দর কষাকষি হচ্ছে। প্রধানের টেবিলে নামানো রয়েছে কিছু ৫০০ টাকার নোট। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে সাবমার্সিবল বসানো নিয়ে চলছে কথা।সেই ভিডিওতে প্রধানের ছবি দেখা গেলেও প্রধানের সাথে যার কথা হচ্ছে তার ছবি দেখা যায়নি। অবশ্য দু’জনেরই কথোপকথন স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে , প্রধান ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চাইছেন, এই কাজ কত টাকার? উত্তরে ওই ব্যক্তি বলছেন “২লাখ ৪৯ হাজার।” কয়েক মিনিট ধরে ‘কাটমানি’ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়।তারপরেই দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কিও শুরু হয়। আর এই ইস্যুতে সুর চড়িয়ে বর্ধমান সাংগঠনের জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রমন শর্মা কটাক্ষের সুরে বলেন,”আমরা তো দফাই দফাই বলে আসছি তৃণমূল মানেই কাটমানির খেলা।

এটা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বলে তাই। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে বুথে বুথে পঞ্চায়েত সদস্যরা দুর্নীতির সাথে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে পঞ্চায়েত গুলোকে টাকা দিচ্ছে। আর পঞ্চায়েতে সেই টাকা হরিলুঠ হচ্ছে। এটাই কি বাংলার কৃষ্টি ,সংস্কৃতি। লজ্জা লাগা দরকার এই দলের।” কেউ টাকা দিতে চাইলেও টাকায় হাত দেবো না দাবি করে পঞ্চায়েত প্রধান ডালিয়া লাহা বলেন,”চক্রান্ত হতে পারে। তবে আমার দিক দিয়ে আমি নিশ্চিত আমি কাউকে কিছু দিওনি আর কিছু নিওনি। তাহলে আমার ভয় পাওয়ারও কোন কথা নেই।”এ বিষয়ে গলসি এক নম্বর ব্লকের বিডিও জয়প্রকাশ মণ্ডল বলেন,”একটি ভিডিও আমার নজরে এসেছে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”