দুর্গাপুর, ৬ মার্চ: রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে শুরু হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর রুট মার্চ।দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকার মেনগেট কাদারোড এলাকায় বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে হিংসাত্মক বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল। সেই এলাকাগুলিতে বুধবার সকাল থেকেই দুর্গাপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী রুট মার্চ করে। রাস্তায় রুট মার্চের পাশাপাশি আধা সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের দেখা যায় সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলতে। সাধারণ ভোটারদের কাছে সমস্ত নির্বাচনে নিজের ভোট নিজেরা দিতে পান কিনা সেই বিষয়ে জানতে চান আধা সামরিক বাহিনীর আধিকারিকরা।
গতকাল থেকে দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীর পাড়ায় পাড়ায় রুট মার্চ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি(পুর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, “”দুর্গাপুরের সমস্ত এলাকাগুলির ম্যাপ তৈরি করে নির্দিষ্ট রুট গুলিতে আধা সামরিক বাহিনীর টহলদারি চলছে। যে সমস্ত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল বিগত দিনে ভোটে সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে রুট মার্চ। আগামী কয়েক দিন আধা সামরিক বাহিনীর এই টহলদারি চলবে। আধা সামরিক বাহিনীর সাথে পুলিশ ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে অবাধে ভোট আমাদের সবার লক্ষ্য। “”মঙ্গলবার থেকে সেই সমস্ত এলাকাগুলিতেই প্রথমে রুট মার্চ শুরু হয়েছে, যে এলাকাগুলিতে বিগত নির্বাচনে উত্তেজনাপুর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দুর্গাপুরে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাদারোডে যে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে ভোটের জন্য বুথ তৈরি হয় সেই বুঝেই গত পৌরসভা নির্বাচনের সময় বিরাট অশান্তি হয়। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাইক । ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করা হয়েছিল। সেই বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী আজ সেই বুথ পরিদর্শন করেন। ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের এক শিক্ষিকা জানিয়ে দেন, “”আমাদের স্কুলে যে বুথ হয়েছিল সেখানে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। লোকসভা নির্বাচন হওয়ার আগে তাই এই বুথের দিকে বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে। মহকুমা শাসকের দপ্তর থেকে কয়েকদিন আগে এসেছিলেন প্রতিনিধিদল। আজ সকালে আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা আসেন। “”লোকসভা নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হয় এবং আধা সামরিক বাহিনী সাধারণ ভোটারদের কতটা নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই এখন দেখার।।