দুর্গাপুর ব্যারেজে দাঁড়িয়ে উমা ভারতীর পরে আবার এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ! আবারও প্রতিশ্রুতির পলি জমবে কি দামোদরে?

দুর্গাপুর, ২৯ অক্টোবর :এর আগে কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্তকের মন্ত্রী ছিলেন উমা ভারতী। দুর্গাপুরে ঝটিকা সফরে এসে তিনি দুর্গাপুর ব্যারেজের দামোদরের পলিসংস্কার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তার সে প্রতিশ্রুতি মাঠে মারা যায়। আবারও এরাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি রুখতে দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদর নদে পলি সংস্কার করতে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে কেন্দ্র এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজ ভুষন চৌধুরী। কিন্তু আবারও কি শুধুই প্রতিশ্রুতি? কেন্দ্রীয় এই কমিটি সমন্বয় রক্ষা করে চলবে রাজ্য সরকারের সাথে। দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শন করে আজ এই তথ্য জানালেন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী রাজভূষণ চৌধুরী।কেন্দ্রের ডাকে এবার রাজ্য সরকার সহযোগিতার হাত বাড়ায় কিনা সেটাই দেখার বিষয়।


ফি-বছর বর্ষায় বন্যার ভ্রুকুটি রুখতে এবার দামোদর নদে ড্রেজিং শুরু হবে, গঠিত হবে উচ্চপর্যায়ের কমিটি, যারা রাজ্য সরকারের সাথে সমন্বয় রক্ষা করে চলবে। আজ দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রাজভূষণ চৌধুরী। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইকে সাথে নিয়ে আজ দুর্গাপুরের দামোদর নদ পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী,কথা বলেন ডিভিসি আধিকারিকদের সাথে। প্রতি বছর বর্ষা বা অতি বৃষ্টিতে ডিভিসির জল ছাড়ার জন্য বন্যা পরিস্তিতি তৈরি হয়, যাকে ফিরে আবার কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতও বাড়ে, দামোদর নদে ড্রেজিং না হওয়াটা বন্যার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,এবার সেই ড্রেজিং এর কাজে উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরী করে বন্যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার সদর্থক ভূমিকা নেবে বলে জানান কেন্দ্রীয় জল সম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রাজভূষণ চৌধুরী, যে কমিটি রাজ্য সরকারের সাথে সমন্বয় রক্ষা করে চলবে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

দামোদর নদের নাব্যতা বাড়ানোর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের, রাজ্য না কেন্দ্র ড্রেজিং কে করবে তা নিয়ে ছিল চাপান উতর, এবার কেন্দ্রীয় জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী রাজভূষণ চৌধুরী দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শন করে বললেন,রাজনীতি নয় এবার মানুষের স্বার্থে রাজনীতির উর্ধে উঠে কাজ করুক রাজ্য সরকার। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই বলেন, রাজ্য সরকার দুর্গাপুর ব্যারেজ দামোদর নদ নিয়ে উদাসীন, আর যার জন্য প্রতি বর্ষায় বা অতি বৃষ্টিতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দুর্গাপুর ব্যারেজে দাঁড়িয়ে দামোদরের পুলিশ সংস্কার নিয়ে বক্তব্য শুনে প্রবল সমালোচনা শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কথাতে।তিনি বলেন, “”২০১৯ সালে তৎকালীন মন্ত্রী উমা ভারতী এসেছিলেন দুর্গাপুরে। এই মন্ত্রীরা মাঝেমধ্যেই আসবেন। কিন্তু ম্যানমেড বন্যা অব্যাহত থাকবে। ডিভিসি প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে উৎসবকালীন সময়ে প্রত্যেক বছর বিভিন্ন জেলার মানুষ জলে ভাসেন। আর এই মন্ত্রীরা বছরের পর বছর এসে সরকারি টাকায় ফুর্তি করে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কেন্দ্রে সরকারের পার্থক্য এখানেই। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেওয়াতে সিদ্ধহস্ত নন। বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা মানুষ যাতে পায় তার জন্য তিনি সদা ব্যস্ত। “”
এখন দেখার বিষয় ফি বছর দামোদরের জল ছাড়ার জেরে দুই বর্ধমান বাঁকুড়া বীরভূম পুরুলিয়া হুগলি হাওড়া সহ বেশ কয়েকটি জেলায় যে বন্যা পরিস্তিতি তৈরি হয় তা রুখতে কতটা সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, বা রাজ্য সরকার কতটা সাড়া দেয় কেন্দ্রের ডাকে।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *