দুর্গাপুর, ১২ মার্চ: গত ২৯ শে ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় গলিত লোহা ছলকে পড়ে ৫ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়ে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে লড়তে শেষমেশ মৃত্যু হয় দুই প্রশিক্ষণরত শ্রমিকের। মৃত দুই শ্রমিকের নাম বিনয় কুমার হরিজন এবং সর্বজিৎ ধাঙরের। এই দুই ট্রেনি শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে স্থায়ী চাকরি দিতে হবে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবি রাখলেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও শ্রমিকতা দীপঙ্কর লাহা,প্রভাত চট্টোপাধ্যায় ।
দুর্ঘটনার সময় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় থাকা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গাফিলাতির অভিযোগ তুলে স্বরব শ্রমিক সংগঠন।কারখানার ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন শ্রমিক সংগঠনগুলি। এই দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটির বিচারে ইস্পাত কারখানার বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকীকরণ নেই। মান্ধাত্তা আমলের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধার লাভ পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। সমস্ত শ্রমিক সংগঠন একযোগে অভিযোগ তুলেছেন, “”কারখানা অধিকারীকরা শুধুমাত্র মুনাফার দিকে নজর দিয়েছেন, অনেক নিরাপত্তার দিকে নয়। “”মাত্র কয়েকদিন আগে পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শ্রমিক সংগঠনের বৈঠকে স্পষ্ট করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “”শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে শ্রমিক নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত রাখা। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। যদি তা না হয় তাহলে শ্রমিক সংগঠন তুলে নেওয়া হোক।”” তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতিদেরকে শ্রমিকদের জন্য হয় কাজ করতে হবে না হয় পথ ছাড়তে হবে এমন হুঁশিয়ারি ও দেন নরেন বাবু । তারপর আজ আইএনটিটিউসির জেলা সভাপতি নেতৃত্বে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার রুদ্ধার বৈঠকে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবি-দাওয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পন্ন হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে এরাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন দুর্গাপুরের শ্রমিক মহল কে জানিয়ে দিল যে আইএনটিটিইউসি শ্রমিকদের স্বার্থেই লড়াই করছে।