দুর্গাপুর, ৯ জানুয়ারি : গভীর রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল সশস্ত্র ডাকার দল। খবর পেয়ে পৌছায় পুলিশ। পুলিশকে দেখে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাত দল। পুলিশ তাদের পাকড়াও করতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। যাকে ঘিরে বুধবার রাতে হুলুস্থুল পড়ে যায় দুর্গাপুর বাজার সংলগ্ন লিলুয়াবাঁধ এলাকা।পরে কোকওভেন থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। ধৃত পাঁচ দুষ্কৃতির মধ্যে ৪ জনের বাড়ি বিহারের ঝাঁঝার থানার জেমুয় এলাকায়। আর একজনের বাড়ি উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রাম। ধৃত কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের নাম রণজিৎ রবিদাস, সন্তোষ দাস, ভিকি শা, বিজয় শা ও উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের দীপক দাস। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ওয়ান শাটার পিস্তল, একটি নাইন এমএম পিস্তল ও ১০ রাউন্ড কার্তুজ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ডাকাত দল বুধবার রাতে ট্রেনে করে দুর্গাপুর স্টেশনে আসে। তারপরে সেখান থেকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে দুর্গাপুর স্টেশন বাজারে যায়। সেখানে ওই দুষ্কৃতী দলের সাথে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল আরেক দুষ্কৃতীর। ওই দুষ্কৃতি না আসায় তারা সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছায়। তাদের পাকড়াও করতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরে কোকওভেন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে ওই সশস্ত্র ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে।ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আনতে চাইছে কোকওভেন থানার পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা বলেন,”সদা তৎপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। দুর্গাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকেও পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দশ রাউন্ড কার্তুজ রয়েছে। ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। কি উদ্দেশ্য নিয়ে এই দুষ্কৃতী দল এখানে জমায়েত হয়েছিল পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালানো হবে।”