দুর্গাপুর, ১ ফেব্রুয়ারী : মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের পার্কিংয়ে ‘জুলুমবাজি’। দেদার পার্কিং এর নামে সিটি সেন্টারের বহুজাতিক শপিংমলের পাশে চলছে দিনে দুপুরে “”তোলাবাজি। ” আর এই অবৈধ পার্কিংয়ের খবর করতে গিয়ে হুমকির মুখে সাংবাদিক। অবৈধ পার্কিংয়ের একজনকে আটক করলো সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ । ক্যামেরা ভেঙে দেওয়ারও হুমকি। এই স্পর্ধা পায় কোথা থেকে অবৈধ কারবারীরা প্রশ্ন শিল্পাঞ্চল জুড়ে? আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কব দত্ত পর্যন্ত প্রশ্ন তুললেন, “”বুঝতে পারছি না এদের মদতদাতা কারা? “”দুর্গাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি শপিংমলের পাশে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের এই পার্কিং একসময় লিজ নিয়ে চালিয়েছিলেন দুর্গাপুরের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ।

২০২৪ সালের আগস্ট মাসের ২২ তারিখ লিজ শেষ হয়। নতুন করে লিজ না হওয়া পর্যন্ত আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে সেই সব পার্কিং জোনকে ফ্রি বলে ঘোষণা করা হয়। তারপরেও ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি তার দলবলকে সঙ্গে নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে দিনের পর দিন পার্কিংয়ের নামে তোলাবাজি করেই চলছে। শনিবার বিকেল পাঁচটায় সাংবাদিকরা সেই খবর করতে গেলে বেশ কয়েকজন সাগরেদ সাংবাদিকদের ক্যামেরা এবং মোবাইল ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি বলা হয় এতদিন ধরে যে গাছ কাটা হচ্ছিল ততদিন কোথায় ছিল সাংবাদিকরা? এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুর্গাপুরের সাংবাদিক মহল। তবে সাংবাদিকদের গায়ে হাত দেওয়ার ঔদ্ধত্য কোথা থেকে পেল? সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতেও শুরু করেছে।এর নেপথ্যে উঠে আসছে এক বালি মাফিয়ার নাম। পার্কিং এর নামে তোলাবাজির পিছনে কি তাহলে সেই বালি মাফিয়ার মদত? আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত জানান, “”আমরা এই পার্কিং জ্যনগুলির টেন্ডার শেষ হয়ে গেছে এমন কথা লিখিতভাবে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটকে জানিয়েছি।””তাহলে এতদিন পর্যন্ত সিটি সেন্টারের বুকে পার্কিংয়ের নামে তোলাবাজি চালানো হলো পুলিশ কেন নীরব? এমন প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে কি এই তোলাবাজির “” মুখিয়া”” কে গ্রেপ্তার করা হবে?