দুর্গাপুর, ১৫ ডিসেম্বর: রাজনৈতিক দলের ঝান্ডায় মুখ ঢেকেছে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তি। সিপিআইএম থেকে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন সব দলের ঝান্ডায় সামাজিক অবক্ষয়ের ছবি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডের কাছে রয়েছে সৃজনী হলের সামনে। শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন বাম পুরবোর্ডের মেয়র রথীন রায় এই আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন করেছিলেন, আর সেই মূর্তি কিনা আজ সেই বাম দলের পতাকাতে মুখ ঢেকেছে। একই পথের পথিক রাজ্যের শাসক দলও। যতই শীতের হাওয়া বইছে ততো বাম, তৃণমূলের ঝান্ডা পতপত করে উড়ছে, আর ততই বিদ্রোহী কবির এই আবক্ষ মূর্তির পতাকার আড়ালে মুখ ঢাকছে। এই চিত্র দেখে সরব হয়েছে শিক্ষিত সমাজ। প্রশ্ন তুলেছে এই শহরের মানুষ থেকে শুরু করে বিদ্বজনও। সামনেই রয়েছে দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত সিটি সেন্টার ফাঁড়ি। তার কিছুটা দূরে দুর্গাপুর নগর নিগমও। শহরের হাই প্রোফাইল জোন হচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। সিপিআইএম সহ বাম দলগুলি আজ মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে তাই কবির শরণাপন্ন হতে লাল ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়েছে তারা, কলঙ্কিত করছে বিদ্রোহী কবিকে। তবে তারা কেন একই অপরাধ করেছেন একই জায়গায় ঝান্ডা লাগিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। রবিবার দুর্গাপুরে দলের একটি সম্মেলন রয়েছে। আর তার জন্যই এই ঝান্ডা লাগানো হয়েছে। কোনো অপরাধ দেখছেন না এতে সিপিআইএম নেতৃত্ব, বরং উল্টে তৃণমূলকে তোপ দেগে সিপিআইএম জেলা নেতা সিদ্ধার্থ বসুর জবাব, দুর্নীতিতে তৃণমূল এই বাংলাকে অপমান করেছে, সন্মান নস্ট করেছে ওদের মুখে জ্ঞান আর মানায় না। যদিও বিজেপি জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন,এ কাজ গর্হিত অপরাধ, দুই দলকে একযোগে বিঁধলেন জেলা বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।