দুর্গাপুর, ১৪ ফেব্রুয়ারী : দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ঢিল ছড়া দূরত্বে মেনগেট এলাকায় ইস্পাত কারখানার জন্য অধিগৃহীত ফাঁকা পড়ে থাকা জমি দীর্ঘ কয়েক দশক আগেই বেআইনি দখলদারদের দখলে চলে যায়।বহু মানুষ এখানে তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে।দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সম্প্রসারণের জন্য জমির প্রয়োজন। আর নিজেদের দখলাকৃত সেই জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষকে।শুক্রবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধিকারিকরা মেনগেট এলাকায় উড়ালপুলের নিচে এবং উড়ালপুলের দুই পাশে তাদের নিজস্ব জমিতে গড়ে ওঠা বেআইনি দোকান ঘর গুলি ভাঙতে গেলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষকে বাধার মুখে পড়তে হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাম রসূলকে দেখা যায় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধিকারিকদের সাথে বছর সাইজ জড়াতে। ঘটনাস্থলে ছিল দুর্গাপুর থানার পুলিশ ইস্পাত কারখানার সিআইএসএফ বাহিনী। শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদারদের দোকানঘর তৈরির জন্য তাদের নতুন পরিকল্পনার কথা জানানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপরেই দেখা যায় বুলডোজার দিয়ে বেআইনি দোকান ঘর গুলিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে। এই এলাকায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মিষ্টির দোকান চালানো সতীশ কেশরী জানিয়ে দেন, “”দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। ১০-১২ জন কর্মীকে নিয়ে ৩০ বছর ধরে এই মিষ্টির দোকান চলছিল। এখন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে আমাদের যেখানে দোকান ছিল তার পিছনে প্রাচীর তৈরি করে তারপর একটি রাস্তা তৈরি হবে এবং তারপরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার যে ফাঁকা জমি রয়েছে সেখানে আমরা দোকান ঘর তৈরি করতে পারব। “”শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযানে নামলো দুর্গাপুরের মেনগেট এলাকা। উচ্ছেদ অভিযানে মেনগেট এলাকায় উড়ালপুলের নিচে যে সমস্ত দোকানপাট ছিল সেই সমস্ত দোকানদারদের বেশ কিছুদিন আগে নোটিশ দিয়েছিল, সেই জায়গায় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ উড়ালপুলের নিচে ফ্রী পার্কিং জোন করবে, তাই উড়ালপুলের নিচে দোকানগুলোকে সরিয়ে দিল।

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জায়গায় মেন গেট এলাকায় দোকান করে ব্যবসা করছে তাদের দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার CISF বাহিনী।দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “”দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার যে সমস্ত জমি অতিপ্রয়োজনীয় অথচ সেই জমিতে বেআইনি দখলদারেরা দখল করে বসে আছেন সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে নোটিশ দেওয়ার পর তা খালি করানো হবে।””কারখানার সম্প্রসারণের জন্য জমি প্রয়োজন। আর সেই জমি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার লাগোয়া এলাকাগুলিতেই বেশি করে প্রয়োজন। কিন্তু ফাঁকা পড়ে থাকা জমে সিংহভাগ বেআইনি দখলদারদের দখলে। সেই সমস্ত জমিকে বেআইনি দখল মুক্ত করাটা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে শক্ত চ্যালেঞ্জ।