দুর্গাপুর, ২৪ ডিসেম্বর : পশ্চিম বর্ধমান জেলার রাজনীতিতে এক বর্ণময় চরিত্র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে তিনি রাজনীতির আঁতুর ঘর থেকে সরাসরি একেবারে লাইন লাইটে। যখন যে দলেই তিনি থেকেছেন তার বিরোধীদের উদ্দেশ্যে “”বিতর্কিত মন্তব্যের” জেরে তিনি বরাবরই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় চলছে সদস্য সংগ্রহ অভিযান। মঙ্গলবার তুমি পাণ্ডবেশ্বর এর শীতলপুর অঞ্চলে ভারতীয় জনতা পার্টির যুব সংগঠনের ডাকে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, “”যখন থেকে আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছি ঠিক তখন থেকেই আমি আবার কবে তৃণমূলে ফিরছি তা নিয়ে একশ্রেনীর তৃণমূল নেতারা বাজারে তা ছড়িয়ে বেড়ান। এতে তারা হয়তো আনন্দ পান। তবে সত্যিটা শুনুন। তৃণমূলের এই জেলার বহুনেতা রাতের অন্ধকারে আমাকে ফোন করছেন। আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি এটা বলে যে যথা সময়ে আপনাদেরকে ডেকে নেওয়া হবে আপনারা এখন যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন।”এরপরেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি আরও একধাপ এগিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, “”ওরা পার্টি অফিসের ধুপ টুপ দেয় না। তবে আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের ধূপ দেখানোর লোক থাকবে না। “”জিতেন্দ্র তিওয়ারীর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিতে গিয়ে পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “”আসলে কয়েকদিন আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। জিতেনের মন খারাপ। তাই ও ভুল বকছে। জিতেন তৃণমূলে ফিরতে চাইলেও আমরা তাকে কোনদিন ফিরতে দেব না। “”ফের আরও একবার নরেন বনাম জিতেন বাগযুদ্ধ। পৌষের প্রারম্ভে শীত পড়বো পড়বো করেও পড়ছে না। তবুও মেরে কেটে তাপমাত্রা কুড়ি ডিগ্রির নিচে। তাহলেই বা কি?জিতেন বনাম নরেনের বাগ যুদ্ধে আচমকাই মঙ্গলবার এক লাফে পশ্চিম বর্ধমান জেলা রাজনীতির তাপমাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গেল। সামনেই দুর্গাপুর পুরসভা নির্বাচন। তার আগে জিতেন বনাম নরেনের দ্বৈরথ তাহলে কি শুরু হয়ে গেল? জিতেনের তৃণমূলের ফেরা নিয়ে জল্পনা চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই।জানুয়ারির প্রথম দিকে জিতেন ফের তার পুরনো ঘরে ফিরতে পারে বলে গল্প শোনা যাচ্ছিল। নরেন চক্রবর্তী কার্যত তাতে জল ঢাললেন। দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দিলেন”” জিতেন কে কোন ভাবেই তৃণমূলে নেওয়া যাবে না। “”তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারির আজকের কথার রেস ধরে একটা কথা বলা যেতেই পারে,আদৌ কি তার সাথে জেলা তৃণমূল নেতারা যোগাযোগ রেখে চলেছেন? তাহলে তারা কারা? যদিও তৃণমূল নেতারা মনে করছেন তৃণমূলের অন্দরে সন্দেহ আর অবিশ্বাসের জন্ম দিতেই জিতেন এইসব গল্প ফাঁদতে শুরু করেছে।