দুর্গাপুর, ১৭ মার্চ: এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় খবর শুধুমাত্র নিউজহান্টের কাছে।।রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, “”জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখে লিখিতভাবে দুর্গাপুরের শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় কে inttuc সাথে কোন যোগাযোগ যাতে না রাখেন সে কথা লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।””গত ১২ জানুয়ারি ২০২৫ দুর্গাপুরের আমরাই গ্রামের বাসিন্দা সামান্য এক ঠিকা কর্মী সেখ লোকমান রাষ্ট্রায়ত্ত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় কোকওভেন বিভাগে তাকে কাজে পুনর্বহালের আবেদন নিয়ে প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
সেদিন প্রভাত চট্টোপাধ্যায় কে তিনি দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন কাজে পুনর্বহালের জন্য কিন্তু তারপরেও তাকে কাজে পুনর বহাল করা হয়নি বলে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দুর্গাপুর থানায়।শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে রাজনৈতিক শোরগোল পড়েছে। এবার সেই কফিনে শেষ পেরেক পুঁতলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “”প্রভাত চট্টোপাধ্যায় কে ২০২৫ সালের ২৭শে জানুয়ারি ট্রেড ইউনিয়নের সমস্ত কাজকর্ম থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। “”কি বলছেন আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়?? ফোনো প্রশ্ন উঠছে এর আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে এই প্রভাত চট্টোপাধ্যায় কে কারখানার গেটে আর না যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন ভরা সভায়। কিন্তু তারপরও প্রভাত চট্টোপাধ্যায় শ্রমিক রাজনীতি থেকে এক মিনিটও দূরে থাকেন নি। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিমো, এরপরে inttuc রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিতভাবে গত জানুয়ারি মাসে জানিয়ে দেওয়ার পরেও প্রভাত বাবু কিভাবে শ্রমিক রাজনীতির সাথে ওতপ্রুত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন? এমন প্রশ্ন কিন্তু উড়তে শুরু হয়ে গেল।