দুর্গাপুর, ১০ ফেব্রুয়ারী : জমি বিবাদকে ঘিরে ক্লাব সদস্যদের সাথে প্রতিবেশীদের সংঘর্ষ। আহত ২। উত্তেজনা দুর্গাপুর থানার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লী এলাকা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা সমালোচনায় বিজেপি। পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পাল্টা তৃণমূল। দুর্গাপুর থানার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লীতে মিলন মন্দির ক্লাবের পাশে রয়েছে ৮কাঠা জমি। সেই জমিকে ঘিরেই ক্লাব সদস্যদের সাথে এলাকারই ঝুমা দে ও অমিত কুমার সাহার বিবাদ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। রবিবার রাতে সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে ওঠে। তারপরেই শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। রড লাঠি,সোটা দিয়েও চলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। গুরুতর জখম হয় ঝুমা দে এবং অমিত কুমার সাহা। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা এই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। নিজেকে মিলনমন্দির ক্লাবের সদস্য দাবি করে সুশীল কুমার বলেন,”এই জমিটি খাস জমি। আমাদের আওতায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।

মন্দির এবং শিশু উদ্যানের কাজ হচ্ছিল। রবিবার রাতে আচমকা বহিরাগত দুষ্কৃতীরা আমাদের গালিগালাজ শুরু করে। বোম মেরে দেওয়ার হুমকি দেয়। মারধর করারও হুমকি দেয়। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমরা কোনভাবেই বহিরাগতদের এই জমি দখল করতে দেব না। আমরা চাই এই জমিতে সামাজিক কাজ হোক। শিশু উদ্যান হোক, স্বাস্থ্য কেন্দ্র হোক এটাই আমরা চাই। ঘটনার পর আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।” পাল্টা অমিত কুমার সাহার অভিযোগ,”আমার জামাইবাবুর নামে জমি ছিল। জামাইবাবু মারা যাওয়ার পর ওই জমির মালিক দিদি। কিন্তু ওই জমিটি দখল নিতে চাইছে ক্লাব সদস্যরা। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের ওপর গাইন শাবল নিয়ে চড়াও হয়। মেরে মুখ, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাবো।”এদিকে সমালোচনায় সরব হয়ে জেলার বিজেপি সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। বোঝাই যাচ্ছে আইনের শাসন নেই। পুলিশও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না।” প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি বলেন,”মারামারির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। আমরা পুলিশকে ও বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা আপাতত ওই জায়গায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র বানানোর কাজ বন্ধ রেখেছি।”