দুর্গাপুর, 12 ডিসেম্বর : এর আগেও এই চক্রটি দুবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা দুর্গাপুরে নিয়ে এসেছিল।কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। বুধবার ভর সন্ধ্যায় মাদক পচার রুখে দিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কোকওভেন থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত চার চাকা গাড়ি সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৭৫ কেজি গাঁজা। গ্রেপ্তার চার। মাদক মামলা দায়ের করে ধৃতদের আসানসোল জেলা আদালতে পেশ। ধৃতরা দুর্গাপুরের রামকৃষ্ণপল্লীর ভরত কুমার জয়সওয়াল। মুর্শিদাবাদের রাণীনগরের আনারুল ইসলাম, দিলদার মন্ডল ও আব্দুল খালেক শেখ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় একটি সাদা রংয়ের চার চাকার গাড়ি দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজের দিক থেকে রাতুরিয়া অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের দিকে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ ওই রাস্তার মাঝেই নাকা চেকিং শুরু করে। আটকানো হয় সাদা রঙের গাড়িটি। গাড়ির ভেতর তখন চালকসহ চারজন ছিল। ডিকি খুলেই দেখেন ট্রেনটি টলি ব্যাগ আর তিনটি কালো ব্যাগ। সেগুলি খুলতেই পুলিশের চোখ কপালে ওঠে। সেই ব্যাগগুলির ভেতর ছিল বিপুল পরিমাণ গাঁজা। তৎক্ষণাৎ গাড়ি থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৭৫কেজি গাঁজা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের রাণীনগরের তিনজন উড়িষ্যার বারপল্লী থেকে ট্রেনে চাপিয়ে ধানবাদ হয়ে দুর্গাপুর স্টেশনে এসেছিল। তারপর সেখান থেকে বেনাচিতির রামকৃষ্ণপল্লীর ভরত কুমার জয়সওয়াল চার চাকার গাড়ি নিয়ে আসে এবং সেই গাঁজা কিনে চার চাকার গাড়িতে করে চারজনে মিলেই রাতুড়িয়া অঙ্গদপুরের রাস্তা ধরে ওয়ারিয়ার দিকে যাচ্ছিল। সেখানেই পাচারের কথা ছিল। তার আগেই তারা ধরা পড়ে যায়।ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হয় 10 দিনের পুলিশে হেফাজত চেয়ে।আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা জানান, “”মাননীয় পুলিশ কমিশনারের পৌরহিত্যে আসানসোল ও দুর্গাপুর পুলিশ দারুণভাবে কাজ করে চলেছেন। বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে কোকওভেন থানার পুলিশ। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে আমরা পুরো চক্রটির খোঁজ পেতে চাই। “”