গুগল ম্যাপে অদ্ভুত লেখনি ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধাচারণ করে,চাঞ্চল্য দুর্গাপুরে

দুর্গাপুর, ১৬ মার্চ:দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের জিপিএস সিস্টেমে গুগল মানচিত্র খুললে এজোন রামকৃষ্ণ এভিনিউ র রোটারি যেখানে ট্রাফিক পুলিশের তল্লাশি চলে সেখানে লেখনি “”পুলিশ এখানে গাড়ি ধরে, টাকা নেয়।”” দুর্গাপুরের লোকেসন ম্যাপে এমনি লেখনী দেখে সমালোচনায় সরব নেটিজেনরা।দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ এস পি স্টেডিয়াম সংলগ্ন রামকৃষ্ণ এভিনিউ এর রোটারির পাশে যেখানে আসানসোল -দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর পক্ষ থেকে দু চাকার ও চার চাকা যানবাহন গুলির এবং তাদের চালকের সমস্ত নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা হয়। তার পাশাপাশি মদ্যপ অবস্থায় কেউ গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখেন ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ কর্মীরা।

গুগল ম্যাপ খুললে মোবাইল লোকেশনে ওই জায়গায় দেখা যাচ্ছে লেখা “”পুলিশ এখানে গাড়ি ধরে,টাকা নেয়””। এই লেখা দেখে শহর জুড়ে চাঞ্চল্য। কে বা কারা এই ধরনের লেখা লিখলো তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। “‘পুলিশ এখানে গাড়ি ধরে, টাকা নেয়’, রাস্তা চিহ্নিত করে মোবাইল লোকেশনে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। হৈচৈ পড়েছে নেটিজনেদের মধ্যে। কারা এইসব করছে সেই নিয়েও চিন্তিত ট্রাফিক। দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর এএসপি স্টেডিয়ামের সামনে একটি রোটারি রয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। বহু বাইক, চারচাকা আরোহী মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে ওই রাস্তা ধরে তাদের গন্তব্যে পৌঁছান। সম্প্রতি মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে ওই রাস্তা ধরে যেতে গিয়ে অনেকে চমকে যাচ্ছেন। এসপি স্টেডিয়ামের সামনের গোল চক্করে লাল চিহ্ন করে মোবাইল লোকেশনে লেখা রয়েছে পুলিশ এখানে গাড়ি ধরে, টাকা নেয়। সেই লেখা দেখে ভয়ে অনেকে থমকে যাচ্ছেন। ভয়ে অনেকে অন্য পথ অবলম্বন করছেন। তবে মোবাইল লোকেশনে এই তথ্য দেখে মজা নিচ্ছেন নেটিজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাইক আরোহী বলেন,”ওই রাস্তাতে প্রায় দিন বিকেলের দিকে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে। হেলমেট না থাকলে গাড়ি আটকানো হয়। সেই জন্যই হয়তো কেউ মোবাইল লোকেশনে লিখে দিয়েছে।”

তবে এসিপি ট্রাফিক থ্রি রাজকুমার মালাকার বলেন,”গোটা দুর্গাপুর জুড়েই ট্রাফিকের বিশেষ নজরদারি চলে। মদ্যপান করে গাড়ি চালালে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ট্রাফিকের কড়া পদক্ষেপের জন্য কমেছে দুর্ঘটনা। বসন্ত উৎসবের আবহেও দুর্ঘটনার হার একেবারেই কম। মানুষের কোন সমস্যা হচ্ছে নাকি সেটাও জানা হবে। তবে মোবাইল লোকেশনে এইসব কারা লিখছে আমাদের জানা নেই। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *