দুর্গাপুর, ৮ ফেব্রুয়ারী : মহাকুম্ভে পুন্যস্নান করে চাইব এরাজ্যেও যাতে তার ঢেউ লাগে।দেশের সাথে সাথে এগিয়ে যায় এই বাঙলা।আর জি করের ঘটনায় বোঝা যাছে ২০২৬ এ এরাজ্যে সরকারের বদল হবে””-মহাকুম্ভে স্নান যাত্রার আগে জানালেন দিলীপ ঘোষ।। ‘ভয়ংকর-ভয়ংকর বিস্ফোরণ বানানো হচ্ছে আর সেগুলো উড়িষ্যা ঝাড়খন্ড এমনকি বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে’, হুগলির কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে নিশানায় প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার বিকেলে দুর্গাপুর থেকে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে কুম্ভের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ। তার আগে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন,”এর আগেও একাধিকবার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছে বহু শ্রমিক। ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারাতে হলো শ্রমিকদের। পেটের দায়ে কাজ করতে আসছে শ্রমিকরা। তাদের দিয়ে অবৈধ কাজ করানো হচ্ছে।

এখান থেকে বিস্ফোরণ তৈরি করে ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, বিহার, এমনকি বাংলাদেশেও পাঠানো হচ্ছে এমনই অভিযোগ উঠছে। পশ্চিমবঙ্গটা কি বোমার কারখানা হয়ে যাবে? কারো এই ধরনের কাজ করছে? পুলিশি বা কি করছে? মুখ্যমন্ত্রী একদিন পুলিশকে ধমক দেবেন। আবার কিছুদিন পর থেকে শুরু হবে। কোথায় বেঁচে আছি আমরা। বারুদের স্তুবের উপর দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ।” সোমবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এখনো পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ড পাইনি, হুগলির বেলমুড়ি বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। এই প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”শিক্ষা ব্যবস্থাটা একেবারে উঠেই গেছে। ৬০০০ স্কুলেতে একজন করে শিক্ষক আছে, ৪০০০ স্কুলেতে শিক্ষক নেই। সেইসব স্কুলের কি গুরুত্ব আছে। এখানে পড়াশোনাই হয় না। ধীরে ধীরে সরকারি স্কুল ছেড়ে দিয়ে এখন বেসরকারি স্কুলে চলে যাচ্ছে ওই জন্য। সাধারণ গরিব মানুষের ছেলেমেয়েরা পড়তে যাচ্ছে সরকারি স্কুলে সেখানে পড়াশোনা না হয়ে অন্য কিছু হচ্ছে। কেবল বেসরকারি স্কুলের মাধ্যমেই শিক্ষা চলছে।

“আরজি করের রায় নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন,”যে ধরনের নাটক করে গেছেন মমতা ব্যানার্জি আর উনাদের সরকার উনারা ফাঁসির দাবি করছেন। তাহলে তথ্য প্রমাণ কেন পুড়িয়ে করলেন। সমস্ত জেনে বুঝে ওঁরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন।” মুজিবর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘটনা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”যে দেশে প্রধান বিচারপতিকে পালিয়ে যেতে হয় রাষ্ট্রপতি ভবন লুট হয় সেই দেশে কি কোন গণতন্ত্র আছে? যাকে ওখানের জাতির জনক বলা হয় সে মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছে সেনাদের সামনে। বঙ্গবন্ধুর মুক্তি যেভাবে ভাঙ্গা হচ্ছে সেখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে উগ্রপন্থীদের হাতে চলে গেছে সেই দেশ।” তারপরেই বারটি কনভয় করে বিধায়ক ও বিজেপি নেতৃত্বদের সঙ্গে নিয়ে 12 টি গাড়িতে করে রওনা দেন প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে। যেতে যেতে তিনি বলেন,”মহাকুম্ভের পর উত্থান হবে ভারতবর্ষের।”