দুর্গাপুর, ২৫ সেপ্টেম্বর : পুজোর মুখে আবার আকাশের মুখ ভার।মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই মাঝেমধ্যেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি খনি অঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে। আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমায় একটু বেশি বৃষ্টিপাত হলেই খনি অঞ্চলে ধ্বস নামার ঘটনা যেন রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রানীগঞ্জ এলাকার ধস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বহুবার।খনি অঞ্চলের মানুষদের পুনর্বাসনের দাবিও এখনো পূরণ হয়নি। এবার ধসে তলিয়ে গেল আস্ত কুয়ো।
ব্যাপক আতঙ্ক গোটা এলাকায়। অন্ডালের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর বাউরী পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে বুধবার সাতসকালেই। স্থানীয়দের অভিযোগ ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের পর বালি দিয়ে ঠিকমতো ভরাট না করার জেরে এলাকায় মাঝে মধ্যেই ধসের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টির জেরে মাটি নরম হয়ে বুধবার সকালে ফের ধসের ঘটনা ঘটে। এলাকার পানীয় জলের একমাত্র ভরসা একটি মাত্র কুয়ো। সেই কুয়ো তলিয়ে পানীয় জলেরও সংকট শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা দীপা বাউরী অভিযোগ করেন,”পাড়ার একটিমাত্র কুয়োই আমাদের ভরসা। সেই কুয়ো তলিয়ে গেল। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যরা এসেছিলেন গ্রামে। কিন্তু আমরা চাইছি দ্রুত ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হোক। আর কুয়োও করে দিতে হবে।””পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “”রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড এই ধসের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। যেগুলি পরিত্যক্ত কয়লা খনি রয়েছে সেগুলি ফিলিং সঠিকভাবে করা হয় না। গত শনিবার এই বিষয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটকের পৌরহিত্যে ই সি এল কর্তৃপক্ষের সাথে জরুরী বৈঠক হয়। মন্ত্রীমলয় ঘটক স্পষ্ট ভাবে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন যে সকল জায়গাগুলিতে ধস দেখা যাচ্ছে সেই জায়গাগুলোতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। আমি নিজে মুকুন্দপুর যাব। সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলবো। “”বারবার খনি অঞ্চলে এই ধসের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের প্রহর গুনছেন খনি অঞ্চলের বাসিন্দারা। ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠছে। অতিরিক্ত মুনাফার জন্য তারা বেপরোয়া ভাবে কয়লা উত্তোলন করার পরে এই ধস সমস্যার মোকাবিলার জন্য সেভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না বলেই অভিযোগ উঠছে।