দুর্গাপুর, ১৬ এপ্রিল : আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী এস এস আনুওয়ালিয়ার জনসভার আগেই অন্ডালের লছিপুরে বিজেপির মন্ডল সভাপতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া ও তার ভাইকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বিরুদ্ধে। উত্তেজনা অন্ডালের কাজোড়ার লছিপুর এলাকায়। পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দিকেই দায় ঠেলেছে তৃণমূল। সোমবার অন্ডালের কাজোড়া এলাকায় আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং অলুওয়ালিয়ার সমর্থনে জনসভা ছিল বিজেপির। এলাকার বিজেপির মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় চৌধুরীর অভিযোগ,” তাঁদের জনসভার আগেই তাঁর দোকানে তৃণমূল নেতা দিলীপ আঁকুড়িয়া সাবান কিনতে যায়।
সেই সময় দোকানে ছিলেন তাঁর ভাই সংগ্রাম চৌধুরী। সেই সাবান নিয়ে কথা বলাকে কেন্দ্র করেই বচসা এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়া শুরু করে এবং ভাইয়ের গলায় নখ দিয়ে আঁচড়ে দেয়। খবর পেয়ে দোকানে পৌঁছান তিনি। তখনই রড, লাঠি, ধারালো দা নিয়ে বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হয় ওই দিলীপ আঁকুড়িয়া। অন্ডাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ওই এলাকা দিয়ে তখনই যাচ্ছিলেন। পুলিশকে দেখে তখনকার মত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ এলাকা ছাড়তেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় আমার।””এদিকে পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা বিষ্ণুদেব নুনিয়ার সাফাই,”মদের দোকান আছে ওই বিজেপি নেতার। মদের দোকানে মারামারি হবে এটাই তো স্বাভাবিক। এর সাথে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। কোথাও কোনো অশান্তি হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীও আছে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”” তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসানসোল সংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জি বলেন “ভয় দেখিয়ে লাঠি দেখিয়ে বিজেপিকে আটকে রাখা যাবে না। “”গতকাল রাতেই আহত ঐ কর্মীকে দেখতে তার বাড়িতে যান সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।তিনি ফোনে জানান, “”এই ধরনের রাজনীতি কাম্য নয়। লড়াইটা হোক ইভিএম মেশিন। লড়াই হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষার। শাসকদলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলবো কর্মীদেরকে বলুন গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হোক। “”