“
দুর্গাপুর, ২৮ জুন:বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখলদারের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন শহর গুলিতে সরকারি জমিতে বেআইনি দখলদারি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এমনকি এই কাজে শাসক দলের কেউ থাকলেও তাকেও রেয়াত নয় এমন কথা জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশকে। আর তারপরেই জেলার বিভিন্ন পৌরনিগম, পুরসভা, উন্নয়ন পর্ষদ গুলি নড়ে চলে বসেছে। দুর্গাপুরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে রাজ্য সরকারের জমি বেআইনিভাবে দখল হয়েছে। সরকারি জমিতে তৈরি হয়েছে শাসক দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়। দুর্গাপুর নগর নিগমের বাইশ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি আড্ডার জমিতে শাসক দলের যে কার্যালয় তা ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতাকর্মীরাই।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের জমির উপর ছিল তৃণমূলের কার্যালয়। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ নোটিশ দিতেই সেই কার্যালয় খুলে ফেলল তৃণমূল নেতৃত্ব। দুর্গাপুরে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিটি সেন্টারে ছিল তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমির উপরেই দলীয় কাজকর্ম চলতো। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন সরকারি জমি দখলদারীদের সরে যাওয়ার। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরে এই আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের জমির ওপর অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা বহু নির্মাণকারীদের তিন দিনের মধ্যে সরে যাওয়ার নোটিশও দেয়। তারপরেই সেই কার্যালয় সরিয়ে নিতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। দুর্গাপুরের কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সভাপতি অজিত কুমার সিং বলেন,”২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয় থেকে তাদের ওয়ার্ডের ও নানান কাজকর্ম হত। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরকে যানজট মুক্ত করার জন্য সরকারি জমি খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনেই আমরা দলীয় কার্যালয় ছড়িয়ে নিচ্ছে।”