দুর্গাপুর, ১০ জুন: অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ। প্রতিবাদীর চার চাকা গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। স্মার্ট শহরের দৌড়ে থাকা দুর্গাপুরের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠলো তাহলে কি অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই বিপদ নেমে আসবে???? সরব বিরোধীরা। এই অন্যায় বরদাস্ত করা যায় না সাফাই তৃণমূল নেতৃত্বের। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেন দুর্গাপুরের প্রতিবাদী ব্যাক্তি ও তার পরিবার।

অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ, প্রতিবাদীর বাড়ির গা ঘেঁষে দাড় করানো চার চাকা গাড়িতে রাতে আগুন লাগিয়ে দিলো দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দা পল্লীতে। বরাত জোরে পরিবার নিয়ে প্রাণে বাঁচলেন দুর্গাপুরের প্রতিবাদী সুবীর সরকার। ঘটনার সূত্রপাত গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ, সুবীর বাবুর বাড়ির পেছনে একটি পার্ক রয়েছে, প্রতিদিন অন্ধকার নামলেই ঐ পার্কে মদ জুয়ার আসর বসে, চলে গালাগালি। প্রতিদিনকার এই ঘটনায় অতিষ্ট সুবীর সরকার প্রতিবাদ করেছিলেন, কোক ওভেন থানার পুলিশকে ডেকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেন তিনি। অপরাধ এটাই। পুলিশের সামনেই সুবীর সরকারকে হুমকি দিতে থাকে সমাজ বিরোধীরা। পুলিশ তখনকার মতো অশান্তি থামিয়ে দেয়, এক সমাজ বিরোধীর মোটর বাইকথানায় নিয়েও চলে যায় পুলিশ।

ব্যাস এতেই আগুনে ঘি পড়ে। দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া দেওয়া হয় প্রতিবাদী সুবীর সরকারকে। মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে প্রথম সুবীর বাবু দেখতে পান, তার বাড়ির সামনে দাঁড় করানো চার চাকা গাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে। ফের ডাকা হয় কোকওভেন থানার পুলিশকে। পুলিশ দুই জনকে আটক করলেও একজন পলাতক। গোটা ঘটনার জেরে টানটান উত্তেজনা দুর্গাপুরের মহানন্দা পল্লীতে। রীতিমতো আতঙ্কে এখন গোটা পরিবার।

বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গেলেন সুবীর সরকারের পরিবার।সুবীর সরকার বাংলা পক্ষর সদস্য।এরপর ফের কিছু বিপদ হবে না তো আতঙ্কে সুবীর বাবুর স্ত্রীর। তাহলে কি এই বাংলায় অন্যায়ের প্রতিবাদ হলেই বিপদ???? সরব বিরোধীরা। পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে, এই অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না জানালো ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার শিপুল সাহা। স্থানীয়দের অভিযোগ, যদি মাঝ রাতে ঘুম থেকে না উঠতেন সুবীর সরকার তাহলে সুবীর বাবুর পরিবার তো বটেই, গোটা এলাকা বিস্ফোরণের জেরে উড়ে যেতো।