চারিদিকে তখন আর্তনাদ, ভয়াবহ এক পরিস্থিতি গোটা বিশ্বজুড়ে। চারিদিকে শুধুই মৃত্যুমিছিল। একই ছাদের নীচে থাকা পরিবারের ৫-৬ জন সদস্য তখন যেন বিচ্ছিন্ন। ছুঁতেও ভয় একে অপরকে।ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে দুর্গাপুরের বেনাচিতি নতুনপল্লীর “” দুর্গাপুর প্রচেষ্টা”” র জন্ম।এলাকার গুটিকয়েক যুবকের উদ্যোগে সেইসময় অসহায় হয়ে পড়া মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে শুরু হয় লড়াই।আর সেই লড়াই দেখেই অনুপ্রাণিত হন বহু মানুষ। সাহসকে সঙ্গী করে অনেকেই ছুটে আসেন প্রচেষ্টার ছায়াতলে মানবসেবাকে পরমধর্ম মনে করেই।আর্থিকভাবেও অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

বিশ্বজুড়ে মহামারীর সময়ে অর্থাৎ এক অস্থির সময়ে ভুমিষ্ট হওয়া প্রচেষ্টা ধীরে কৈশোর পার করে আজ বহু মানুষের সঙ্গলাভে এক পরিপূর্ণ যুবক। কোভিডের সেই ভয়াবহতা পার করেও থামনি প্রচেষ্টার মানবসেবার অদম্য ইচ্ছে।আর তাই এবার যারা অর্থনৈতিকভাবে একটু পিছিয়ে পড়েও নিজেদের সন্তান-সন্ততিদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন মানুষের মত মানুষ করার তাগিদে গত দুইবছর ধরে প্রচেষ্টা তেমনই কিছু পরিবারের পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য প্রেরণা যোগাচ্ছে। তাদের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে হাত। মঙ্গলবার দুর্গাপুর প্রচেষ্টার পঞ্চম বর্ষ উদযাপনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন ।

প্রায় শ খানের কচি কাতাদের হাতে এদিন তুলে দেওয়া হলো পড়াশোনার সামগ্রী। মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। ছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যা রাখি তেওয়ারি, সিআরপিএফ এর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক সুকোমল দে প্রমুখ। সংগঠনের প্রত্যেক কর্মকর্তা থেকে কর্মীদের এই আন্তরিক প্রয়াসের অকুন্ঠ প্রশংসা করেন অতিথিবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুরূপে সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট মঞ্চ সঞ্চালিকা ও বাচিক শিল্পী অদ্বিতীয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।