অগ্নিমিত্রা পাল, নাকি ফের একবার এস এস আলুহওয়ালিয়া, নাকি অন্য কোনও হেভিওয়েট ??

দুর্গাপুর, ১৪ মার্চ : বর্ধমান -দুর্গাপুর লোকসভা আসনে শাসকদলের প্রার্থীর নাম ঘোষনার পরে তিনি প্রচার শুরু করে দিলেও এই আসনে গতবার জয়ী ভারতীয় জনতা পার্টি এখনো তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষনা করেনি।এবারে কি এই আসনে বিজেপির প্রার্থী মহিলা নেত্রী লড়াকু অগ্নিমিত্রা পাল,নাকি গত লোকসভার মত এবারেও এস এস আলুহওয়ালিয়া শেষ রাতে ওস্তাদের মার দেবেন? আবার বিজেপির দলীয় একটা সুত্র বলছে এবার এই কেন্দ্রে বিজেপি এক টলি তারকাকেও প্রার্থী করার কথা ভাবছে। আসলে ২০১৯ র লোকসভা নির্বাচনে একেবারে শেষ মুহুর্তে দার্জিলিং এর বিদায়ী বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুহওয়ালিয়াকে প্রার্থী করার পরে সবাইকে তাক লাগিয়ে এই কেন্দ্রটিতে “” অনভিপ্রেত “” জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদ।কিন্তু এবার কি তিনিই বিজেপির এই কেন্দ্রে তুরুপের তাস? নাকি পুর্ব বর্ধমানের বিজেপির একটা অংশের মানুষের এস এস আলুহওয়ালিয়ার বিরোধিতা এবং অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী হিসাবে চাওয়াতেই সিলমোহর দেবে পদ্মশিবিরের হাইকমান্ড? আবার বেশ কয়েকবছর যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় এরাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক কবিতা লিখে তা আবৃত্তি করে জনপ্রিয়তা আদায় করা দুঁদে টলি অভিনেতার কপালে ভাগ্যের শিঁকে ছেড়ে সেটাও দেখার।আবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হওয়ার জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির এক বিধায়ক ঘন ঘন দিল্লীতে দরবার করেছেন বলেও সুত্রের খবর।বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী কিন্তু ক্রিকেটার হিসাবে যথেষ্ট পরিচিত।

অত্যন্ত ভালো বক্তা হিসাবেও কীর্তি আজাদকে জানে গেরুয়া শিবিরের হাইকমান্ডের সবাই।সুতরাং তার বিরুদ্ধে যে বিজেপি হেভিওয়েট কাউকে দিতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক। তাছাড়াও কীর্তি আজাদ একসময় বিজেপির পরিবারের সদস্য ছিলেন।বিজেপির বিরুদ্ধে বলার মত অনেক তথ্য তার হেফাজতে । এবার যদি দিল্লিতে আবারও মোদী সরকার ক্ষমতাসীন হয়, আর কীর্তি আজাদ যদি লোকসভায় যাওয়ার জন্য বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জনাদেশ পেয়ে যান তাহলে লোকসভায় কীর্তি র “” ঝোড়ো ব্যাটিং”” থামানো যে মুশকিল হবে সেটা উপলব্ধি করেও তার বিরুদ্ধে বিজেপি সেরকম হেভিওয়েট কাউকে প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাবে বলেও অভিমত রাজনৈতিক মহলের।তাহলে কীর্তি আজাদ কে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের রাজনৈতিক ময়দানের ২২ গজে বিজেপির এমন একজন প্রার্যী চাই যার “” বিষাক্ত স্যুইং”” এ ছিটকে যাবে কীর্তি আজাদের মিডিল স্ট্যাম্প।

আর বিজেপি সেরকম কারো খোঁজেই হয়ত “” ধীরে চলো”” নীতি নিয়েছে গত লোকসভা নির্বাচনে জয় পাওয়া এই আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণার ক্ষেত্রে।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ