স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে দক্ষিনবঙ্গে সর্বপ্রথম দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে কিডিনি প্রতিস্থাপন হল

দুর্গাপুর, ২২ অক্টোবর: দক্ষিণবঙ্গে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন, তাও আবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে। নজির গড়লো দুর্গাপুরের বিধান নগরের বেসরকারি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।* আসানসোলের ডিসেরগড়ের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছিলেন। দুর্গাপুরের বিধান নগরের মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে চিকিৎসকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। তারপরেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দক্ষিণ ভারতে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানেও চিকিৎসকেরা একই কথা বলেন। পুন:রায় তারা ফিরে আসেন দুর্গাপুরের বিধাননগরের ওই হাসপাতালে। তাঁর বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় তাঁর একটি কিডনি ছেলেকে দান করার সিদ্ধান্ত নেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সেই কিডনি ছেলের শরীরে সফল ভাবে প্রতিস্থাপন করার সাফল্য অর্জন করে হাসপাতাল। হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগ কিডনির অনেক জটিল রোগ ও সমস্যার সফল চিকিৎসা করলেও এতদিন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রোগীদের যেতে হত কলকাতা বা অন্য রাজ্যে। এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ১৫ সেপ্টেম্বর সফল কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করার মাধ্যমে হাসপাতালের মুকুটে যোগ হল আরও একটি গৌরবোজ্জ্বল পালক। ওই বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. সত্যজিৎ বসু বলেন,”এই সাফল্যের পিছনে নেফ্রোলজি বিভাগের ডা. দীপক কুমার ও ডা. রবি রঞ্জন সৌ মন্ডল সহ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ছেলে এবং বাবা। এই কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপন করছে খরচ হবে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা।” ছেলেকে কিডনি দান করে বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন,”আমি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। ছেলেও আমার সাথে একই কাজ করতো। হঠাৎ করে ছেলের কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়া করাতেই পারতাম না। চিকিৎসকদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *