দুর্গাপুর, ২২ মার্চ: কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বছর 26 এর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী পবিত্র বিশ্বাস খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ল সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাস এবং তার স্ত্রী পূর্ণিমা দাস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার তাদেরকে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে কাঁকসা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বিগত চার পাঁচ বছর ধরে পূর্ণিমা দাস এর সাথে পবিত্র বিশ্বাসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।বহুবার এই ঘটনা নিয়ে পবিত্র বিশ্বাসের সাথে শম্ভু দাসের বচসা বাঁধে। শম্ভু দাস এবং তার স্ত্রী পূর্ণিমা দাসেরও সাংসারিক অশান্তি দেখা দিয়েছিল।
গত মঙ্গলবার রাতে পবিত্র বিশ্বাসকে বাড়ি থেকে ডেকে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠে পূর্ণিমা দাসের স্বামী শম্ভু দাসের বিরুদ্ধে। এরপরেই উত্তেজিত জনতা সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাসের চারচাকা গাড়িতে আগুন লাগানোসহ তার বাড়িতে হামলা চালায়। অভিযুক্ত শম্ভু দাস এবং তার স্ত্রী পূর্ণিমা দাস পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগানো হয়। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান পবিত্র একজন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী তাই তাকে খুন করেছে বিজেপি সমর্থক শম্ভু দাস। পাল্টা বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই দাবি করেন শম্ভু দাস ফুলেফেঁপে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদতের কারণে। এই ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেয় কাঁকসার গোপালপুর এলাকায়। শম্ভু দাসকে গ্রেপ্তার করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে দফায় দফায় পুলিশের কাছে দরবার করে গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে এই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় কোন রাজনৈতিক কারণ নেই এমনকি কোন সুদ কারবারের কথাও পুলিশ জানায়নি।পূর্ণিমা দাসের সাথে দীর্ঘ প্রায় চার পাঁচ বছর ধরে পবিত্র বিশ্বাসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে কাঁকসা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এবং সেই কারণেই এই ঘটনা বলে দাবি কাঁকসা থানার পুলিশের। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পুর্ব) অভিষেক গুপ্তা আমাদের ফোনে জানান, “”ঘটনা তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত শম্ভু দাসের স্ত্রীর সাথে বিবাহ বহির্ভূত একটি সম্পর্কের কথা তদন্তে পরিষ্কার উঠে এসেছে । দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ তাদের মহকুমা আদালতে তোলা হবে। আমরা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পেরেছি। গ্রামবাসীদের খুনিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আবেদন ছিল পুলিশ তা পূরণ করতে পেরেছে। “”