দুর্গাপুর, ১৬মে:বৃহস্পতিবার সেখ বাহাদুরের রক্তাক্ত মৃতদেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরে আরতি গ্রামে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল।কিন্তু কিভাবে মৃত্যু হল গ্রামের মধ্যে সবথেকে বাহাদুর ছেলে হিসাবে বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে উঠে আসা সেখ বাহাদুরের?বুধবার সেখ বাহাদুরের দুর্ঘটনার খবর তার বাড়িতে দিয়েছিল বাহাদুরের বন্ধু সেখ আসরাফুল।তার খোঁজ এখনও মেলেনি আর তার সাথে সাথে এখনও পাওয়া যায়নি রহস্যজনকভাবে মারা যাওয়া সেখ বাহাদুরের মোবাইল ফোন ও তার বাইক।বাহাদুরের এক নিকট আত্মীয়র সাথে কিছুদিন আগে বাহাদুরের ঝামেলা হয়েছিল বলে সুত্রের খবর। সেই সময় ওই নিকট আত্মীয় কি বাহাদুরকে শাসিয়েছিল?বুধবার সকাল থেকে সেখ আসরাফুলের সাথেই ছিল সেখ বাহাদুর। গ্রামের অনেকেই বলছেন, “” সেখ বাহাদুরের বাহাদুরি ছিল।১০-১২ জনের বিরুদ্ধে সে একাই লড়াই করতে পারত। তার দারুন সাহস ছিল।””এই সাহস আর তার এই শক্তি কি কাল হল তার জীবনের?বাহাদুরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় স্টিল টাউনশীপের এ-জোন নেতাজী সুভাষ রোড এলাকা থেকে আর সেখান থেকেই পুলিশ একটা টাটা এসি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করে।ওই গাড়িতেই কি ছিল বাহাদুর ও তার সঙ্গীরা?কিন্তু কেন?আরও সবাই কোথায় গেল?সেখ বাহাদুরের মাথায় এত গভীর আঘাত কিভাবে?দুর্গাপুর থানার পুলিশ তদন্ত করছে।
ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।সেখ বাহাদুর যখন একা ১০-১২ জনের সাথে লড়াই করার মত শারীরিক ক্ষমতা ও সাহস রাখত তাহলে তাকে এভাবে মারল কে বা কারা?নাকি বাস্তবিক তার মৃত্যু দুর্ঘটনার ফলেই হয়েছে? বাহাদুরের সাথে রাজনৈতিক যোগ ছিল বলেও সুত্র মারফত জানা গেছে।আরতি গ্রামের এক তৃণমূল নেতার সাথে তার সখ্যতার কথাও শোনা যাচ্ছে। ইদানিং আরতি গ্রামে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাও অনেকেই জানেন।সব মিলিয়ে শেখ বাহাদুরের মৃত্যু কোথাও যেন এক রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সেখ বাহাদুরের দাদা শের আলি জানান,””গতকাল বেলা বারোটা অবধি আমার ভাই বাড়িতেই ছিল। তার বন্ধু সেখ আশরাফুল তাকে ফোন করে ডাকে। এরপর দুপুর ২ টা বেজে ১৬ মিনিটে আশরাফুল আমাকে ফোন করে বলে যে তোর ভাই অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। হাসপাতালে এসে ভর্তি কর। আমি জিজ্ঞাসা করলাম তাকে কি করে হল?এরপর আমি এসে দেখলাম আমার ভাই পড়ে আছে রক্তাক্ত অবস্থায়। সেখানে আশরাফুলরা কেউ ছিলনা। আমার ভাইয়ের মানিব্যাগ, বাইক এবং মোবাইল কিছুই পাওয়া যায়নি। আমরা চাই মৃত্যুর রহস্য বেরিয়ে আসুক।প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।””আপাতত ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং পুলিশের তদন্তে কি সত্য উঠে আসে তার দিকে তাকিয়ে আরতি গ্রামের আমজনতা।।