সেখ বাহাদুরের রহস্যমৃত্যুতে গ্রেপ্তার হওয়া সেখ আনারুলের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

দুর্গাপুর, ১৮ মে:বৃহস্পতিবার সেখ বাহাদুরের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপের এ-জোন নেতাজি সুভাষ রোড এলাকা থেকে। কিন্তু কিভাবে মৃত্যু হল সেখ বাহাদুরের?তা জানতেই বাহাদুরের পরিবারের পক্ষ থেকে দুর্গাপুর থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত নেমে পুলিশ শুক্রবার গ্রেফতার করে ফরিদপুর থানার আরতি গ্রামের এক যুবক সেখ আনারুল কে। গ্রেপ্তার হওয়া যুবককে শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হলে বিচারক তার পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন। এখন পুলিশ আনারুল কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেখ বাহাদুরের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে গত বুধবার বাহাদুরের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর বাহাদুরের বাড়িতে ফোন করে বাহাদুর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে জানিয়েছিল তার বন্ধু সেখ আশরাফুল।

পুলিশ সূত্রে খবর আশরাফুলের খোঁজে তদন্ত চালিয়েও এখনও পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সেখ আশরাফুলের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে দেখা যাচ্ছে বর্ধমানের ফরিদপুকুর এলাকায় থাকার সম্ভাবনার কথা।
দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকার আরতি গ্রামের যুবক সেখ বাহাদুর বেশ কিছুদিন ধরেই তার সাহস এবং দৈহিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু অসামাজিক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সেখ আশরাফুলের বিরুদ্ধ দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন থানায় বহু অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বুধবার আশরাফুলের সাথেই বের হয়েছিল সেখ বাহাদুর। কিন্তু তারপর জানা যায় নেতাজি সুভাষ রোডে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেখ বাহাদুর। তার রক্তাক্ত দেহের পাশেই উদ্ধার হয় একটি টাটা এসি গাড়ি। সেই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি বাহাদুরকে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন আসানসোল জেলা হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত হয়েছে। বাহাদুরের মাথায় এবং কোমরের নিচের গভীর ক্ষত থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। যা থেকে তার পরিবারের লোকের সন্দেহ যে তাকে খুন করা হয়েছে। সেই মর্মেই দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সেখ বাহাদুরের দাদা সেখ শের আলী।বিভিন্ন অসামাজিক কাজের “”ডন””হতে চেয়েছিল কি সেখ বাহাদুর? যদিও গ্রেপ্তার হওয়া সেখ আনারুল জানায় যে সে এই রহস্যমৃত্যুর সাথে কোনওভাবে জড়িত নয়।তবে পুলিশ সুত্রে খবর দুর্গাপুরের আরতী, আমরাই সহ বেশ কয়েকটি এলাকার বেশ কয়েকজন বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম করছে।তাদের সাথে যোগাযোগ ছিল সেখ বাহাদুরের। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং সেখ আসরাফুলের গ্রেপ্তার হওয়ার দিকে তাকিয়ে পুলিশ এবং সেখ বাহাদুরের পরিবার।তাহলেই বাহাদুরের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা যেমন জানা যাবে তেমনই সেইসময় কারা কারা ছিল সেটাও পরিষ্কারভাবে উঠে আসবে।।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *