দুর্গাপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারী :দুর্গাপুরে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ডিভসি র ডিটিপিএস কারখানার নতুন ইউনিট কি জমিজটে থমকে যাবে?৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষম নতুন ইউনিট কি তাহলে এবার ঝাড়খন্ডের মাইথনে?হুগলির সিঙ্গুরের ছবি কি তাহলে এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে? ডিভিসির নিজস্ব জমি উদ্ধার করতে গিয়েই আজ হিমসিম খাচ্ছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।তাহলে কি ডিটিপিএস কারখানার ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে? ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব পড়ার ভয়েই কি চুপ রাজনৈতিক দলগুলি?এই কারখানা না হলে কাদের ক্ষতি হবে?উঠছে প্রশ্ন।। দুর্গাপুরে ডিভিসি র ডিটিপিএস তাপবিদ্যুৎ কারখানা তৈরি হয়েছিল বেশ কয়েক দশক আগে।সময়ের সাথে সাথে একের পর এক ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়।ডিটিপিএস কারখানা কার্যত বন্ধের মুখে চলে যায়।সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে অনেক আবেদনের পরে দুর্গাপুরে ডিভিসি র এই তাপবিদ্যুৎ কারখানায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন নূতন ইউনিটের স্থাপন হবে বলে স্থির হয়।কিন্তু সেই ইউনিট গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন জমির।ডিভিসি র নিজস্ব জমি যাতে বে-আইনি দখলদারেরা শিকড় পুঁতেছিল বহুদিন আগে তারা এখন পুনর্বাসন না দিলে জমি ছাড়বেন না বলে ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা করে আন্দোলনে নেমে পড়েছেন।অন্যদিকে ডিভিসির ডিটিপিএস কারখানার শ্রমিকদের জন্য এক সময় তৈরি হওয়া আবাসনেও ঢুকে পড়েছে বে-আইনি দখলদারেরা।এরকম ৫০৮ টি আবাসন যা বর্তমানে বিপজ্জনক আবাসব বলেও চিহ্নিত, সেইসব আবাসন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। এই আবাসনগুলিকে বে-আইনি দখলমুক্ত করার জন্য বহুদিন ধরে প্রচার ও নোটিশ জারি হলেও কেও তা ছাড়ছিলেন না বলে অভিযোগ। শুক্রবার ডিভিসি র সিভিল বিভাগের ম্যানেজার অমিত কুমার মোদীর নেতৃত্বে সেইসমস্ত আবাসন গুলির জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করতে গেলে সবাই আবাসন ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ দশ দিনের সময় দেন। যদিও আবাসনের দখলদারেরা আরও বেশি সময় দাবী জানান।ডিভিসি র সিভিল বিভাগের ম্যানেজার অমিত কুমার মোদী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে জানান যে, “” ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে নতুন ইউনিট হলে। কিন্তু এভাবে যদি প্রতিরোধ করা হয়, ডিভিসি যদি তার নিজের জমি নিজেই না পায় তাহলে কারখানা কর্তৃপক্ষ হয়তো অন্য কথা ভাববেন। “”দুর্গাপুরে dtps এর নতুন ইউনিট স্থাপনকে নিয়ে বারবার যে রকম ভাবে আন্দোলন ঘনীভূত হচ্ছে তাতে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে এই ইউনিট দুর্গাপুরে না হলে পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়ার মেজিয়া তে অথবা ঝাড়খন্ডের মাইথনে চলেও যেতে পারে। যদিও ডিভিসি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই এখনো বলেননি। যদিও ডিটিপিএস এর সিভিল দপ্তরের ম্যানেজার অমিত কুমার মোদী আশাবাদী, “”আজ যাদের সাথে কথা বললাম তারা অত্যন্ত ভদ্রলোক। তাদেরকে দশ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। যদি তারা ছেড়ে চলে যান তাহলে আমরা এই বিপজ্জনক ৫০৮ টি আবাসন ভেঙ্গে দিয়ে জমি উদ্ধার করব। “”বিবিসি কর্তৃপক্ষের দাবি এই নতুন ইউনিট এখানে স্থাপন হলে এই এলাকার অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি যেমন ঘটবে পাশাপাশি এলাকার বহু বেকার ছেলের চাকরি জুটবে। এখন দেখার জমি জটের জেরে দুর্গাপুরের dtps এর নতুন ইউনিট ফিরে যায় নাকি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে জমি জট কেটে দুর্গাপুরে এই নতুন ইউনিট প্রতিস্থাপিত হয়?